ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ভবিষ্যতে বর্তমান সরকার ও ক্ষমতাসীন দলকে ‘করুণ পরিণতির মাধ্যমে’ মূল্য দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
সোমবার বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সরকার ও সরকারি দলের মূল উদ্দেশ্য ভয়-ভীতি ও শঙ্কা সৃষ্টি করে বিচার বিভাগকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা। আর তাই সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারি দলের মন্ত্রিপরিষদ এই রায়ের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের এ অবস্থানে সমগ্র জাতি স্তম্ভিত। আর এ জন্য একদিন না একদিন সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সম্পর্কে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ওই সব বক্তব্য আমাকে দুঃখ দেয়, আমাদের সবাইকে দুঃখ দেয়। এমনও বলা হয়েছে যে, এই রায় নাকী একজন ইংরেজী পত্রিকার সম্পাদক লিখে দিয়েছেন। আপনারাই (সরকার) এই বিচারপতিদের নিয়োগ দান করেছেন। তারা যদি রায় লিখতে না পারেন, যে কথাটা আপনারা এখন বলতে চাচ্ছেন, এর দায়টা কার ওপরে বর্তায়। সুতরাং এতো বড় একটা মিথ্যাচার ও একটা অবমননাকর বক্তব্য তারা দিয়েছেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক সম্পর্কে বিশিষ্ট এই আইনজীবী বলেন, ‘উনি একজন নির্লজ্জ ও অসৎ ব্যক্তি। তিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন ভাবতে লজ্জা লাগে। কারণ এই ব্যক্তিটি দেশের অনেক উজ্জ্বল ভবিষ্যত ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে।’
দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি মু্ন্সি বজলুল বাসিত আনজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া, ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, দক্ষিণের সহসভাপতি ইউনুস মৃধা, নবী উল্লাহ নবী, মো. মোহনসহ শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post