বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একইসাথে তারা গণতান্ত্রিক পরিবেশে আইনের শাসন ও প্রশাসনে সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়।
ইইউ-বাংলাদেশ যৌথ কমিশন সভায় ইইউ এই অভিমত ব্যক্ত করেছে।
ব্রাসেলসে গত বুধবার অষ্টম যৌথ কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ শহীদুল হক।
আর ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পামপালোনি।
বৈঠক নিয়ে আজ দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিস্তৃত ইস্যুতে গঠনমূলক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। আলোচ্যসূচির মধ্যে রাজনীতি ও নির্বাচন ছাড়াও ছিল মানবাধিকার, অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম অধিকার, উন্নয়ন সহায়তা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)।
সভায় ইইউ ও বাংলাদেশ অভিবাসন ইস্যুতে গভীর আলোচনা করে। অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৬ সালের জুনে ইইউর দেয়া খসড়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউরের (এসওপি) সংশোধনী উত্থাপন করে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এসওপি নিয়ে সমঝোতা শেষ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করে ইইউ। সমঝোতায় অগ্রগতির অভাবের জন্য ইইউ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। চলতি জুলাইয়ের মধ্যেই এ ব্যাপারে সমঝোতা সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানায় ইইউ।
যৌথ কমিশনে বাংলাদেশ ও ইইউ সমাবেশের অবাধ স্বাধীনতাসহ শ্রম অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সাসটেইনেবেল কম্পেক্ট বাস্তবায়নে যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশসমূহ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আইএলও’র সাম্প্রতিক সুপারিশগুলো নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দ্রুততার সাথে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে ইইউ। ইইউ-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক পরিবেশ সংলাপের অগ্রগতির ওপর ইইউ জোর দিয়েছে, যেটির লক্ষ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাণিজ্যিক পরিবেশ উন্নয়ন।
বাংলাদেশ ও ইইউ অভিন্ন এজেন্ডায় কার্যকর অগ্রগতির জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে, যা যৌথ কমিশনের পরবর্তী বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে। আগামী বছর ঢাকায় যৌথ কমিশনের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত
Discussion about this post