চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ৫৭৮ ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল বিমাবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। নেত্রীকে বিদায় জানাতে বিমাবন্দর এলাকায় ঢল নামে নেতা-কর্মীদের।
বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার এ সফর একান্তই ব্যক্তিগত। পা ও চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের কাছে বেশ কিছু দিন অবস্থান করবেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদুল আযহা উদযাপন করেও দেশে ফিরতে পারেন বেগম জিয়া।
চেয়ারপারসনের সাথে সফরসঙ্গী হয়ে লন্ডনে গেছেন তার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল।
এছাড়া গত কয়েকদিনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ বেশ কয়েকজন নেতা লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
আজ সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে ভিআইপি গেট দিয়ে বিমাবন্দরে প্রবেশ করেন খালেদা জিয়া। নেতা-কর্মীদের ভিড়ে তার গাড়ি বিমানবন্দরে ঢুকতে বেশ বেগ পেতে হয়।
খালেদা জিয়াকে বিদায় বেলা দুপুর ২টার পর থেকেই এ এলাকায় নেতা-কর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
ঢাকা মহানগর বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর হাজার হাজার নেতা-কর্মী ব্যানার-প্লাকার্ড বহন করে চেয়ারপারসনকে বিদায় জানান।
‘সফল হোক, লন্ডন যাত্রা’, ‘খালেদা জিয়ার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’- এ ধরনের নানা শ্লোগান তোলেন নেতা-কর্মীরা। খালেদা জিয়া হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের বিদায় জানান।
খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে বিমাবন্দরে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মীর মো: নাসির উদ্দিন, শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুল মান্নান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, কবির মুরাদ, মিজানুর রহমান মিনু, রহুল কবির রিজভী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, ইমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, কাদের গনি চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মামুন হাসান, এস এম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের রাজিব আহসান, একরামুল হাসান, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ঢাকা মহানগরের নেতা কাজী আবুল বাশার, আহসান উল্লাহ হাসান, মুন্সি বজলুল বাসিদ আঞ্জু, আতিকুল ইসলাম মতিন, জয়নাল আবেদীন রতন চেয়ারম্যান, কাজী হযরত আলী, একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক কমিশনার মাসুদ খান, নবী সোলায়মান, রবিউল আউয়াল, আনম সাইফুল ইসলাম, আলী রেজাউল রহমান রিপন, এজিএম সামসুল হক, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, মাহফুজুর রহমান চেয়ারম্যান, শামীম পারভেজ, মো: আক্তার হোসেন, খতিবুর রহমান খোকন, মনজুর হোসেন মঞ্জু , সোহেল রহমান, রফিকুল ইসলাম রাসেল, সাইদুর রহমান মিন্টু, এবিএমএ রাজ্জাক, হাজী মো: লিটন, হাজী দুলাল, অ্যাডভোকেট খন্দকার জিল্লুর রহমান, মোঃ বশির উদ্দিন, আব্দুস সালাম সরকার, হাজী এস এম ফজলুল হক, দেলোয়ার হোসেন দুলু, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। ওই সময়ে লন্ডনে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থানরত বড় ছেলে তারেক রহমানসহ তার পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করে দেশে ফিরেন তিনি।
জানা গেছে, এবারের সফরও দীর্ঘ হতে পারে। লন্ডনে যাওয়ার আগে সংগঠন যাতে গতিশীলভাবে চলে সে নির্দেশ দিয়ে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
সূত্র: নয়াদিগন্ত
Discussion about this post