অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. তুহিন মালিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আপনার কাছে দুটা চয়েজ ছিল- একত্ববাদ এবং মূর্তিবাদ। নাটকীয়ভাবে রমজানের মহিমান্বিত প্রথম প্রহরেই আপনি একত্ববাদকে নয় বরং মূর্তিবাদকেই বেছে নিলেন!’
দেশব্যাপী ব্যপক বিরোধীতার মুখে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে তথাকথিক ন্যায়বিচারের প্রতীক গ্রীক দেবী থেমেসিসের মূর্তি অপসারণ করার পর সেটিকে এনেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপনের ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করেই তুহিন মালিক তার ব্যাক্তিগত ফেসবুকে এমন মন্তব্য করেছেন।
গনভবনে হেফাযত ও কওমী আলেম ওলামাদের সামনে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমাদের হাইকোর্টের সামনে গ্রিক থেমেসিসের এক মূর্তি লাগানো হয়েছে। সত্য কথা বলতে কি, আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। কারণ, গ্রিক তেমেসিসের মূর্তি আমাদের এখানে কেন আসবে। এটা তো আমাদের দেশে আসার কথা না। আর গ্রিকদের পোশাক ছিল একরকম, সেখানে মূর্তি বানিয়ে তাকে আবার শাড়িও পরিয়ে দেয়া হয়েছে। এটাও একটা হাস্যকর ব্যাপার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছিলেন, আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা এখানে থাক উচিত নয়। আমি আপনাদের বলব, আপনারা ধৈর্য ধরেন। এটা নিয়ে হইচই নয়। একটা কিছু যখন করে ফেলেছে, সেটাকে আমাদের সরাতে হবে। সেটার আপনারা একটুকু ভরসা অন্তত রাখবেন যে এ বিষয়ে যা যা করার আমি তা করব।’
প্রধানমন্ত্রীকে তার এই বক্তব্যটি স্মরন করিয়ে দিয়ে এই বক্তব্যের স্ক্রীনসট নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে তুহিন মালিক উপরোক্ত মন্তব্যসহ আরো কিছু মন্তব্য করেছেন।
ড. তুহিনি মালিকের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি অ্যানালাইসিস বিডির পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
“আপনার কাছে দুটা চয়েজ ছিল- একত্ববাদ এবং মূর্তিবাদ। নাটকীয়ভাবে রমজানের মহিমান্বিত প্রথম প্রহরেই আপনি একত্ববাদকে নয় বরং মূর্তিবাদকেই বেছে নিলেন!
আপনার নিজের অংগীকার আপনি নিজেই রক্ষা করতে পারলেন না! আপনার নিজের উপর ভরসা রাখতে বলে এ কেমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিলেন! অথচ খোদ আপনার দলের সিংহভাগ ধর্মপ্রান কর্মী-সমর্থকরাও মূর্তিবাদের বিপক্ষে এবং একত্ববাদের পক্ষেই আপনাকে দেখতে চেয়েছিল।
মহান আল্লাহ আপনাকে বড় একটা সুযোগ দিয়েছিলেন। অথচ আপনি দেখিয়ে দিলেন- আপনার রাজনীতি ও আপনার চেতনা সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুকুলে নয়। বরং উল্টো মূর্তিবাদকেই বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের এবং রাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদী বৈশিষ্ট্য বলে চাপিয়ে দিতে চেয়েছেন!
গুটিকয়েক নাস্তিক ও পরজীবীই পুরো বাংলাদেশ নয়। ভালো মন্দ ও ন্যায়বিচারের ফায়সালা শুধুমাত্র মহা-পরাক্রমশালী আল্লাহর হাতে। কোন মনুষ্যসৃষ্টি পাথরের মূর্তি ন্যায়বিচারের প্রতীক হতে পারে না।
যে যা ভাবুক, যে যা বলুক; যত ঠাট্টা-উপহাসই করুক- একত্ববাদই আমাদের পরিচয়। চেতনা আমাদের একটাই- ‘লা শারিক আল্লাহ’।”
Tuhin Malik এর ফেসবুক থেকে
Discussion about this post