বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসস’র মোড়কে পান করানো হচ্ছে আনন্দবাজারের খবর!
আনন্দবাজারের শিরোনাম: “ভারতে লাগাতার হামলার ছক পাক জঙ্গিদের, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট”
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসস’র শিরোনাম: “ভারত ও আফগানিস্তানে হামলার ছক পাক জঙ্গিদের : মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট”
#আনন্দবাজারের ১ম প্যারা–
“যে কোনও সময়ে ভারত ও আফগানিস্তানে বড়সড় হামলা চালাতে পারে পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের সেনেট সিলেক্ট কমিটির কাছে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স-এর ডিরেক্টর ড্যানিয়েল কোটস।”
#বাসস’র ১ম প্যারা–
“পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো ভারত ও আফগানিস্তানে যে কোনও সময় বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স-এর ডিরেক্টর ড্যানিয়েল কোটস। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট সিলেক্ট কমিটির কাছে তিনি এই সতর্কতা বার্তা দেন। খবর এএফপি’র।”
#আনন্দবাজারের ২য় প্যারার ১ম অংশ–
“পাকিস্তান জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ হওয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি আরও শক্তি বাড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বলে দাবি করেন ড্যানিয়েল। ফলে ভারত ও আফগানিস্তানে যে কোনও সময় যে কোনও রকমের বড় হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কোটস। এই দুই দেশের সঙ্গে আমেরিকার যা সম্পর্ক, তা নষ্ট করার চক্রান্ত চালানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।”
#বাসস’র ২য় প্যারা–
“পাকিস্তান জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ হওয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো আরও শক্তি বাড়িয়ে হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে দাবি করেন ড্যানিয়েল। ফলে ভারত ও আফগানিস্তানে যে কোনো সময় যে কোনও রকমের বড় হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কোটস। এই দুই দেশের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক নষ্ট করার চক্রান্ত চালানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।”
#আনন্দবাজারের ২য় প্যারার শেষাংশ–
“আফগানিস্তানে যে ভাবে মার্কিন সেনা ও ন্যাটো বাহিনী ২০০১ থেকে লড়াই চালিয়ে তালিবান ও অন্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে একেবারে কোণঠাসা করে ফেলেছিল, নিজেদের গড় উদ্ধারে সেখানে ফের সক্রিয় হতে শুরু করেছে তালিবান। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে। বিষয়টি নিয়ে কপালের ভাঁজ ক্রমেই চওড়া হচ্ছে আমেরিকার।”
#বাসস’র ৩য় প্যারা–
“আফগানিস্তানে যেভাবে মার্কিন সেনা ও ন্যাটো বাহিনী ২০০১ থেকে লড়াই চালিয়ে তালেবান ও অন্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে একেবারে কোণঠাসা করে ফেলেছিল, সেখানে ফের সক্রিয় হতে শুরু করেছে তালিবান। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে। বিষয়টি নিয়ে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের।”
#আনন্দবাজারের শেষ প্যারা–
“তালিবানকে আফগানিস্তান থেকে উচ্ছেদ করার পর বহু সেনা তুলে নিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু সেখানে ফের তালিবান সক্রিয় হওয়ায় সেনা মোতায়েন করতে শুরু করেছে আমেরিকা। কোটস-এর আশঙ্কা আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার বহর বাড়ানোর ফলে সে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা ব্যবস্থারও অবনতি হবে। এবং সেটা হবে ২০১৮-র মধ্যেই! শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও খারাপ হবে। যত দিন না তালিবানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি হচ্ছে, তত দিন আফগানিস্তানকে বর্হিশক্তির সহযোগিতা নিয়েই চলতে হবে বলে দাবি করেন কোটস।”
#বাসস’র শেষ প্যারা–
“তালিবানকে আফগানিস্তান থেকে উচ্ছেদ করার পর বহু সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেখানে ফের তালিবান সক্রিয় হওয়ায় সেনা মোতায়েন করতে শুরু করেছে তারা কোটস-এর আশঙ্কা আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার বহর বাড়ানোর ফলে সে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা ব্যবস্থারও অবনতি হবে। এবং সেটা হবে ২০১৮-র মধ্যেই। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও খারাপ হবে। যত দিন না তালিবানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি হচ্ছে, ততদিন আফগানিস্তানকে বহির্শক্তির সহযোগিতা নিয়েই চলতে হবে বলে দাবি করেন কোটস।”
(মজার বিষয় হচ্ছে, আনন্দবাজারের প্রতিবেদনের ভাষা-শব্দ চয়ন, এমনকি অক্ষরে অক্ষরে কপি-পেস্ট করে বাসস সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে এএফপি’র কথা! কিন্তু আনন্দবাজারের কোনো উল্লেখ নেই।)
Qadaruddin Shishir এর ফেসবুক থেকে
Discussion about this post