রাহমান বিপ্লব
১.
নয়া বিশ্ব ব্যবস্থায় যে মোড়ল যেভাবে পারছে আপনাকে খুটিয়ে নিজের আখের গোছাতে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করছে। একে বলে মাস্টার প্ল্যান। এই প্ল্যানের কাছে শতবছরের বাস্তবতায় অতীত ও হাল আমলের বিএনপি, আ.লীগ, জামাত, জাপা চুলোয় গেছে।
কী সব আবোল তাবোল সমীকরন নিয়ে রাজনীতি মিলাচ্ছেন জনাব? আসবেন প্রধানমন্ত্রী হয়ে খালেদা? কিংবা আসবেন না? ফেলে দিন ওসব। দেশ আছে কি? অসচেতন নাগরিক রাষ্ট্রের রাজনীতি কি ঢাকায় বসে থাকে?
প্রথমে দাদাদের চটালো চিন। কী দিয়ে? আরে দাদা! টাকা দিয়ে টাকা! ওর কাছে মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকার ‘বড়ই সৌন্দর্য’! তারপর তড়িঘড়ি নেত্রীকে ডেকে নিজস্ব মুক্তিযুদ্ধ স্টাইলে দেশের সীমানায় সৈন্য ঢোকানোর দলিল লিখে নিলো দাদারা!
চায়না এদিকে না এসে চলে গেলো আমেরিকায়। একসাথে নাস্তার টেবিলে ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখান থেকে চায়নার নিজস্ব চাইল্ড মিসাইল উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে আযমেরিকার আশ্চর্যতম সহযোগী হল চায়না।বিশ্বব্যাপী হৈ চৈ! কী লাভ দাদা? রাজনীতি বলে কথা! আমেরিকা আর ইন্ডিয়ার প্র্যাকটিস করা সামরিক কুটনীতির ভিন্ন ট্র্যাকে চলছে চায়না। তাদের নয়া ট্যাক অর্থনৈতিক কুটনীতি আমেরিকাতেও চলছে তো!আমেরিকার বাংলাদেশ পরিকল্পনায় কক্সবাজার লাগোয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম। আবার উত্তর অঞ্চলজুড়ে আছে খ্রিষ্টান মিশনারীর বিশাল বৈঠকখানা।এরপরেও আমেরিকার গায়ে যে পয়েন্টে (আঞ্চলিক ন্যাটিভ হিসেবে) ইন্ডিয়ার পরশ বুলছিলো, সেই পয়েন্ট খোঁড়া করে এলো চায়না।দেশের একমাত্র স্বজানহারা প্রধানমন্ত্রীর শাড়ির আঁচলে ২০০ মিলিয়ন ডলারের নোট গুঁজতে আবারও আসছে তাই!সীমান্ত লাগোয়া ইন্ডিয়া, টাকা ওয়ালা চায়না আর জাতিসংঘের আদিবাসী ধারার ট্রিগারার আমেরিকার ৩ বিশাল হা বাংলাদেশের আবেগী মানুষের দিকে ক্রমশ বড় ও স্পষ্ট হচ্ছে!
বাংলাদেশের রাজনীতি ভোটের বাইরে। তাই জনগণ কোন ফ্যাক্ট নয়। রাজনীতির সাথে দেশজ নেতারাও চলে গেছেন ঐ তিন দেশের রাজধানীতে!
মানুষ! তোমার রাজনীতিতে নেতা বানাও নিজেদের ভেতর থেকে! ভুলে যাও অতীতের দল আর নেতা!
২.
একটা মুসলিম দেশের ভবিষ্যত ভাবতে গেলে আল্লাহর পরিকল্পনা ও সম্ভাব্য শক্তি নিয়েও ভাবতে চাই,
তাদের পরিকল্পনার পিঠে আল্লাহর পরিকল্পনা নিয়ে ভাবলে, নয়া ডিজাইন হচ্ছে হেফাজতের রাজনীতিতে আসার পরিকল্পনা। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দেশজ আন্দোলন তারা করেছে নিজস্ব স্টাইলে। এইদিক থেকে, কিছু সচেতন হবার উসিলা পাওয়া আলেম নেতার আগমন, নেয়ামত হয় কিনা দেখাই যাক।
একটা মুসলিম দেশের ভবিষ্যত ভাবতে গেলে আল্লাহর পরিকল্পনা ও সম্ভাব্য শক্তি নিয়েও ভাবতে চাই,
তাদের পরিকল্পনার পিঠে আল্লাহর পরিকল্পনা নিয়ে ভাবলে, নয়া ডিজাইন হচ্ছে হেফাজতের রাজনীতিতে আসার পরিকল্পনা। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দেশজ আন্দোলন তারা করেছে নিজস্ব স্টাইলে। এইদিক থেকে, কিছু সচেতন হবার উসিলা পাওয়া আলেম নেতার আগমন, নেয়ামত হয় কিনা দেখাই যাক।
আমি অবশ্য দেশজ ইসলামী ভাবনায় জামায়াতের উপস্থিতিকে দেশজ শক্তি হিসেবে রাখবই! ডলারের বিপরিতে ফাঁসির মঞ্চ বেছে নিয়ে দেশজ মাটির আন্দোলনই যে থাকতে হবে। তার কিছু উসিলা হিসেবে হলেও দেশের ইসলামপন্থীদের দিকেই প্রধানত তাকাবো।
৩.
মানুষ ভাবে বাংলাদেশ কী এমন পেলো যে, সবাই পাগল হয়ে একে দখলে আসবে? এইটা কি ব্রিটিশ এম্পেরারের যুগ?
এ খানেই বাংলাদেশীদের অসচেতনতা!
মানুষ ভাবে বাংলাদেশ কী এমন পেলো যে, সবাই পাগল হয়ে একে দখলে আসবে? এইটা কি ব্রিটিশ এম্পেরারের যুগ?
এ খানেই বাংলাদেশীদের অসচেতনতা!
ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার কারনেই বিশ্ব অর্থনীতির নয়া বাজার আসছে একচেটিয়া দ: এশিয়ায়! তার করিডোর- বাংলাদেশ।
ভেবে দেখুন, তারা শ’বছর দেখছে! আমরা?
ভেবে দেখুন, তারা শ’বছর দেখছে! আমরা?
লেখক: শিক্ষার্থী
Discussion about this post