অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক:
ভুয়া বিশেষজ্ঞ দিয়ে কথিত উন্নয়নের প্রচার করতে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় কলাম লিখিয়ে চরমভাবে ধরা খেলেন শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির অনুসন্ধানে শেখ হাসিনার কথিত উন্নয়নের নামে গুজব ছড়ানোর এসব তথ্য উঠে এসেছে। হাসিনার এসব গুজব ছড়ানোর খবর এখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে ভেসে বেড়াচ্ছে। বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল জাজিরা, ইয়াহু নিউজ ও ডয়েচে ভেলেসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এএফপির এই অনুসন্ধানী পতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই এদেশের গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে রেখেছে শেখ হাসিনা। হাসিনার কথিত উন্নয়নের প্রচার করতে গণম্যামকে বাধ্য করেছে সরকার। দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যম এখন সরকারের দেয়া কথিত উন্নয়নের প্রেস রিলিজগুলো হুবহু প্রকাশ করছে। এরপরও শেখ হাসিনার অভিযোগ দেশের গণমাধ্যম নাকি তার উন্নয়ন প্রচার করে না। এজন্য হাসিনার কথিত উন্নয়ন প্রচারের জন্য গত বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কলামিস্ট চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসিনার কথিত উন্নয়ন নিয়ে কলাম লিখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। তাদের ডাকে কেউ সাড়া না দিলে প্রতারণার পথে হাটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিজেরা কথিত উন্নয়নের কাহিনী লিখে এগুলো অস্তিত্বহীন বিভিন্ন ব্যক্তির নামে দেশি ও বিদেশি মিডিয়ায় পাঠাতে থাকে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হল-এসব ভুয়া লেখকদের পদবি দেয়া হয়েছিল বিশ্বের নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে। এমনকি ভারতের ফ্যাশন ডিজাইনার ডোরন চৌধুরীকে নেদারল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বানিয়ে তার নামেও লেখা পাঠাতো হাসিনার পররাস্ট্রমন্ত্রী আ: মোমেন।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী-গত কয়েক মাসে এমন ৩৫ জন ভুয়া বিশেষজ্ঞের নামে হাসিনার কথিত উন্নয়নের কল্প ৭০০ কাহিনী লিখে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় এই প্রতারকরা পাঠিয়েছিল।
এদিকে, হাসিনার এই প্রতারণার সংবাদ প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সবাই বলছেন, ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ভুয়া সরকারের কথিত উন্নয়ন প্রচারের জন্যও হাসিনা ভুয়া বিশেষজ্ঞ বানিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করছে। আসলে ভুয়া সরকারের সবই ভুয়া। হাসিনা নিজেও একজন ভুয়া প্রধানমন্ত্রী। আর এতদিন উন্নয়নের নামে যা করেছে সবই ছিল ভুয়া। এগুলো প্রচারের জন্য এখন আসল লেখক কোথায় পাবেন?
Discussion about this post