অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সম্প্রতিশেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার, তা করতে ভারতবর্ষের সরকারকে অনুরোধ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। এই কথা বলায় বেশ বিপাকেও পেড়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় গোপন কথা ফাঁস করে দেয়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন তার দল আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতাসীন সরকারের কথিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এমনিতেই ভোট ডাকাতি করে আসা শেখ হাসিনার ক্ষমতার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এর মধ্যে আবার মন্ত্রী মোমেনের সত্য স্বীকার আরো বিপদে ফেলে দিয়েছে।
তবে, ভারত শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনে ও ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখে এটা নতুন কিছু না বলে মনে রাজনীতি বিশ্লেষকরা। ইতিহাসও তাই বলে। দেখা গেছে, ৯৬ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে ভারতের পরোক্ষ সহযোগিতা ছিল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনেতো ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন ভারতের নির্দেশেই ভোটের ফল পাল্টে দিয়ে হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে ছিল।
এরপর, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ািাতে ভারতে নির্দেশেই শেখ হাসিনা এক তরফা নির্বাচন করতে বাধ্য হয়েছিল। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনতো ভারতের গাইডলাইন অনুযায়ীই হাসিনা করেছে। দিনের ভোট কিভাবে রাতে দিতে হবে সেই ফর্মূলা ভারত থেকেই এসেছিল। এক কথায় বললে-এখন পর্যন্ত ভারতের পরোক্ষ ও প্রত্যেক্ষ সহযোগিতায়ই হাসিনা ক্ষমতায় এসেছে ও টিকে আছে।
তবে, ক্ষমতায় আনতে বা টিকিয়ে রাখতে ভারতের সহযোগিতার কথা শেখ হাসিনা বা তার দলের নেতারা কখনো প্রকাশ্যে বলেনি। এবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সরকারের গোপন মিশনের কথা প্রকাশ করে দিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোমেনের বক্তব্যে শেখ হাসিনা নিজেও চরম ক্ষুব্দ হয়েছেন। তার এই ক্ষোভের কারণ হল ভারতের অসন্তোষ্টি। মোমেনের বক্তব্যে ভারত চরমভাবে বিব্রত হয়েছে। ভারত মনে করছে-আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন থেকে মনে করবে যে, ভারত তার স্বার্থে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে বার বার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ধরে রাখছে। আর বাংলাদেশের মানুষও এখন ভারতের উপর আরও ক্ষুব্দ হয়ে উঠবে। তাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা কঠিন হয়ে যাবে। জানা গেছে, ঢাকাস্থ ভারতের হাইকমিশন থেকে সরকারকে এনিয়ে বার্তাও দেয়া হয়েছে।
Discussion about this post