অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
দুর্নীতি-লুটপাট আর পাচারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগার শেষ করে এখন চরম অর্থ সংকটে পড়েছে শেখ হাসিনা। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে যেসব টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সবই লুটপাট করে এখন উদ্বোধন করা শত শত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজও এখন স্থবির হয়ে পড়েছে।
বিগত ১০ বছর ধরে কৌশলে জনগণের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ব্যাংকিং খাত থেকে শুরু করে শেয়ার বাজার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এবং জ্বালানি ও গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, চাল, তেল, পেয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে দাম বাড়িয়ে বিভিন্নভাবে সরকার লুটপাটের জন্য টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের এমন কোনো খাত নাই যেখান থেকে সরকারের থাবা পড়ে নাই। এসব লুটেপাটের টাকায় শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীরা লুটপাট করে বিদেশে বেগমপাড়া গড়ে তুলেছে। তাই লুটপাট-আত্মসাতের জন্য এখন কথিত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার নামে নতুন ফন্দি তৈরী করেছে।
জানা গেছে, সরকার দেশের ৮ কোটি ৩২ লাখ মানুষকে এই পেনশনের আওতায় আনতে চাচ্ছে। এই পেনশনের জন্য প্রতি মাসে মানুষকে নির্ধারিত একটা টাকা জমা রাখতে হবে। দশ বছর দেয়ার পর ৮ শতাংশ লাভে তারা টাকা পাবে। সরকার এটাকে সর্বজনীন পেনশন বললে সাধারণ মানুষ বলছে এটা আসলে একটা ডিপোজিট। মানুষ ব্যাংকে ডিপোজিট করে, এখন করতে হবে সরকারের ব্যাংকে।
অর্খনীতি বদিরা বলছেন, প্রথম দিকে যদি ২ কোটি মানুষ সরকারের আহ্বান সাড়া দিয়ে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা জমা রাখে, তাহলে সরকারের ফান্ডে প্রতি মাসে কয়েক হাজার কোটি টাকা জমা হবে। বছর শেষে দেখা যাবে-পুরো এক বছরের বাজেটের টাকা সরকারের কোষাগারে চলে এসেছে। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে-দেশের সাড়ে ৮ কোটি মানুষের জন্য পেনশন বাধ্যতামূলক করা হবে। এটা করা হলে সরকারের কোষাগারে প্রতিমাসে হাজার হাজার কোটি টাকা জমা হবে। তখন দুর্নীতি-লুটপাট ও বিদেশে পাচার করার জন্য শেখ হাসিনা ও তার দলের লোকদেরকে আর চিন্তা করতে হবে না। সুতরাং বিষয়টা একেবারেই পরিষ্কার যে, কথিত পেনশনের নামে সরকার আবারো জনগণের পকেট টাকা নেয়ার একটা নতুন ফন্দি সৃষ্টি করছে।
Discussion about this post