-মুহাম্মদ আবদুল জব্বার
২৮ অক্টোবরের নৃশংসতা বাংলাদেশের আকাশে একখন্ড কালো মেঘের বজ্রাঘাত। সে জমাট মেঘ এখনো তান্ডব থামায়নি। সে নিকষ কালো মেঘ আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ, পারস্পরিক সম্পৃতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ সব দুমড়ে-মচুড়ে নিঃশেষ করে দিতে ব্যতিব্যস্ত। ঘটনার খলনায়করা এখন ইতিহাসের সংরক্ষক, দরাজকন্ঠী মানবতাবাদী! এক একটি চলমান ঘটনাই নতুন নতুন ২৮ ’শ। পূর্বের ২৮ শে’র চেয়ে পরের ২৮ ’শ যেন আরো নৃশংস, হৃদয় বিদারক,লোমহর্ষক ও মানবাতিহাসের কলঙ্ক জনক অধ্যায়ের সুচনা করছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের কোন নাগরিক নিরাপদ নয়। প্রতিটি মুহুর্ত তাদের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে উৎকন্ঠায় কাটছে। স্বস্তিহীন,নিরাপত্তা বিহীন আর কত কাল এভাবে কাটতে হবে ? আমাদের আর কত দিন গুনে গুনে দেখতে হবে নতুন নতুন ভয়াল ২৮ অক্টোবর! ওরা কারা, যারা নতুন নতুন করে ২৮ অক্টোবরের রচিত করছে ? ওদের রুখে দিতে আর কত সময় দরকার? ওরা মানবতা অপরাধী। ওদের রুখে দিতে না পারলে আমরা আগামীর প্রজন্মের কাছে আমরা হব ক্ষমার অযোগ্য।
ক্ষমতা লিপ্সুদের হিংস্র থাবায় ২৮ অক্টোবর ২০০৬ রক্তরঞ্জিত হলো রাজধাণীর কালো পিছঢালা রাজপথ। সত্যের সেনাণীদের লাঠি-বৈঠার আঘাতে ও লাশের উপর নর্দন-কুর্দন করে চিরতরে নিঃশেষ করে দেয়াই ছিল ইসলাম বিদ্বেষীদের টার্গেট। সেদিন নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্তা ও আনুগত্যের পরম পরাকাষ্টা প্রদর্শন করে জীবন উৎসর্গ করল দ্বীনের মুজাহীদরা, কিন্তু পিছু হটলনা! মিডিয়ার সুবাধে আওয়ামী হায়নাদের বিভৎষতা, নিচুতা ও পাশাবিকতা প্রত্যক্ষ করল বিশ্বমানবতা। শহীদ ও আহতদের রাজপথে রেখে এক মুহুর্তের জন্য পিছপা হলনা আন্দোলনের সাথীরা। এ যেন কারবালার আর এক নিষ্টুর প্রান্তর। ভাইয়ের সামনে ভাইয়ের লাশ। জান্নাতের মেহমানরা পাখি হয়ে ঘুরছেন জান্নাতে। বছর ঘুরে ২৮ অক্টোবর আসে। শহীদের সাথীরা প্রতিশোধ নেয়ার স্পৃহায় নব উদ্দীপনায় জাগ্রত হয়। আজ আন্দোলনের কর্মীদের কাছে ২৮ অক্টোবর প্রেরণার সুউচ্চ মিনার। যদিও বা ক্ষমতা লিপ্সুরা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার লালসায় বাংলার জমিনে এখন ক্ষণে ক্ষণে ঘটিয়ে চলছে নতুন নতুন ২৮ অক্টোবর।
২৮ অক্টোবর ৪ দলীয় ঐক্যজোট সরকারের মেয়াদকালের পরের দিন নির্বাচন কালীন তত্ববধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহনের ছিল প্রথম দিন। পল্টনে বি এন পি ও বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট ছিল জামায়াতের পূর্বনিধারিত এবং অনুমোদিত সভাস্থল। পাল্টা আওয়ামীলীগও পল্টন ময়দানে সভা করার ঘোষনা দেয়। এ যেন রাজনীতির চরম শিষ্টাচারিতার লঙ্ঘন । যার কারণে বি,এন, পি সংঘাতে এড়িয়ে নির্ধারিত স্থানে তাদের সমাবেশ না করে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের কর্মসূচী পালন করছিল। আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রের ফেরী ওয়ালা, বলে এক রকম করে অন্য রকম। তাদের নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে ভয়াল নগ্ন চেহারা তারা সেদিন পদর্শন করেছিল । তাদের কার্যালয় বাদ দিয়ে জামায়াতের নির্ধারিত সভাস্থলে বিনা উস্কানিতে দখলের চেষ্ঠা করে সাহারা ,তোফায়েল, জাহাঙ্গীর কবির নানক ,মায়া ,ডাক্তার ইকবাল ও হাজী সেলিমের লগি-বৈঠা বাহিনীর নেতৃত্বে। তাদের গতিবিধি আচার আচরণে দেশবাসীর কাছে দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়েছিল যে, এ ধরেণের আচরণ ছিল অত্যন্ত পূর্ব পরিকল্পিত । চোরা পথে ক্ষমতায় আসার ডিজিটাল নাটকের মঞ্চায়ন। কথিত স্বাধীনতার চেতনার একক দাবীদার আওয়ামী হায়নাদের তান্ডবে সেদিন জান্নাতের পাখি হয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন টগবগে অকুতুভয় তরুন শহীদ মুজাহীদ,শিপন,রফিক, ফয়সাল, মাসুম ও শাহাজাহান আলী । রাজধাণী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো যারা সৌভাগ্যবানদের কাতারে নাম লিখালেন শহীদ জসিম-১, সাবের ,শহীদ জসিম-২, আরাফাত ,আব্বাস,রুহুল আমিন, হাবিব ও বয়োবৃদ্ধ জাবেদ আলী। জীবনের স্বপ্ন স্বাধ তাদেরকে মুহুর্তের জন্যও স্থির লক্ষ্য হতে বিচ্ছ্যুত করতে পারেনি। এ যেন শাহাদাতের পেয়ালা পানের এক অপ্রতিরোধ্য প্রতিযোগীতা। আন্দোলনের সাথীরা ইয়ারমুকের যুদ্ধের ন্যায় পানি পান না করে পাশের ভাইকে পানি পান করানো, নিজের সুরক্ষা নয় আন্দোলনের ভাইয়ের সুরক্ষার জন্য ইস্পাত দেয়াল হয়ে যায়। দুনিয়ার মায়া মমতা যেন তাদের কাছে তুচ্ছ। নিজেরা মজলুম হয়েছিল সেদিন , জালিমের কাতারে শামিল না হয়ে শহীদের কাতারে রিক্ত হস্তে নিজেদের শামিল করে কালের অনাগত বিপ্লবীদের প্রেরণার উৎস মিনার স্বরুপ। সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ চিরন্তন, সত্য-অসত্য কখনো এক হতে পারেনা ;যে ভাবে আলো আঁধার এক হতে পারেনা। দেশে সাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে,রায়ের মাধ্যমে দেশবাসী তাদের নেতৃত্ব বাছাই করে নেবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সা¤্রাজ্যবাদীদের নখরে ফ্যসিবাদীদের জয়ধ্বনিতে বাংলাদেশের রাজধাণী থেকে শুরু করে অজ পাড়া গায়েও এর আচড় লেগেছিল। যে কারণে একটি অনাকাঙ্কিত পরিবেশ তৈরী হল। যার মাধ্যমে পরবর্তীতে সাজানো নির্বাচন প্রত্যক্ষ করল সমগ্র জাতি। শেখ হাসিনা নিজেই বললেন ১/১১ আমাদের আন্দোলনের ফসল। সেদিন খুন করে ঘটনাস্থল থেকে লাশ চুরি করে অপ-রাজনীতি করার মত নির্লজ্জ ইতিহাস উপহার দিতেও আওয়ামীলীগ কুন্ঠিত হয়নি। ২৮ অক্টোবর কালো অধ্যায় রচনাকারীদের স্বপ্নস্বাধ সাময়িক ভাবে বাস্তবায়ন হলেও শহীদের সাথীরা রক্তের বদলা নিতে কফিন ছুয়ে আন্দোলনের কাজ পূর্নদমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দীপ্ত শপথ গ্রহন করেন। পাতানো নির্বাচনের মাধমে কুৎসিত ফ্যাসিবাদীদের চেহারা পুনরায় প্রকাশ করল আওয়ামীলীগ। সারাদেশে ইসলাম পন্থীদের নানা অভিযোগে দমনের ভয়ঙ্কর ভুমিকায় অবতীর্ণ হলো। সত্যপন্থীদের জীবন দিয়ে হলেও আন্দোলনের সুরক্ষার তীব্রতায় দিশেহারা হয়ে আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে একটি স্পর্শ কাতর কথিত ‘যুদ্ধপরাধ’ ইস্যু এনে ঘায়েল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন নীলনকশার সরকার! ইসলাম বিদ্বেষী সরকার ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার জন্য যেন সমগ্র দেশবাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে।
২৮ শে’ দিন ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা নেতৃত্বের নির্দেশে অত্যন্ত সুশৃংখল ভাবে সমাবেশ স্থলে অবস্থান করছিলেন । এত লগি বৈঠার আক্রমণের শিকার একটা দলের নেতা-কর্মীরা স্বাভাবিক ভাবে বেপরোয়া ও প্রতিশোধ পরায়ণ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দলের আমীরের গঠনতান্ত্রিক বক্তব্যের মাধ্যমে সবাই হানাহানির পরিবর্তে চরম ধর্য্য ধারণ করল। সেদিনের ঘটনা যারা প্রত্যক্ষ করেছিল তাদের অনেকের ভাষ্য মতে -সে দিন যদি দলের আমীরের বক্তব্য বেপরোয়া হত হয়ত বা পরিস্থিতি অন্য রকম হত। আবার ইসলামী সংগঠন ব্যতিত অন্য বৈষয়িক দল হলে সেই ধর্য্য ও ক্ষমা করে দেয়ার নমুনা প্রদর্শন করা সম্ভব হতো কিনা তা ও ভাববার বিষয় ছিল।
বাংলাদেশের যেসব প্রান্তরে শহীদের খুন ঝরেছে সেসব প্রান্তরেই আন্দোলন গতিশীল হয়েছে, গণভিত্তি রচিত হয়েছে। ভিন্ন দল-মত ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এ দল সম্পর্কে জানার প্রচন্ড আগ্রহ জন্মেছে। ঢাকা শহরে ২৮ অক্টোবর ছিল দেশের ইতিহাসে জনশক্তির আত্নত্যাগের সবচেয়ে বড় নজির। আন্দোলনের কর্মীরা দৃঢ় চিত্তে মনে করে এ রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারেনা। একটি কল্যাণ মূলক ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত হওয়ার মাধ্যমে আমরা এর প্রতিশোধ নিতে চাই।
২৮ অক্টোবরের শহীদ পরিবার গুলোরআত্বীয়দের সাথে যখনই আমরা দেখা করতে গিয়েছি প্রশান্তিতে হৃদয় ভরে গিয়েছে ,বার বার আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছি। শহীদদের স্বজনদের বক্তব্য আমাদের আন্দোলনের কাজে অদম্য প্রেরণা পেয়েছি। শহীদের মা-বাবা এখনও আমাদের কন্ঠে মা-বাবা ডাক শুনে তাদের হৃদয়ের অপুরনীয় রক্তক্ষরণ বন্ধ করেন,আন্দোলনের নেতা-কর্মীদেরকে নিজের সন্তান মনে করেন ,আমাদের সুখ যেন ওনাদের পরম পাওয়া আমাদের দুঃখ-কষ্ট যেন ওনাদের সবচেয়ে বড় যন্ত্রনার। আমাদের মাঝে তাদের সন্তাদেরকে খোঁজে ফেরেন। তারা আমাদের আপনেরও আপন। আর সন্তানের আতœত্যাগের চুড়ান্ত মানজিলের স্বার্থকতার অপেক্ষায় থাকেন -‘কবে এ দেশে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে!’।
দেশের রাজণীতির ইতিহাসে নয়া জঘন্যতম অধ্যায় রচনা করল আওয়ামীগ । যে দলের দলীয় প্রধান জনগণের বিরুদ্ধে লাঠি-বৈঠা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেয়, ষড়যন্ত্রের নীল নকশায় তিনি আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার ষড়যন্ত্রের মুখোঁশ প্রতিনিয়ত উম্মেচিত হয়ে চলছে। বিরোধী দল মতের উপর চলতে থাকে নির্যাতনের ষ্টিম রুলার। তার আচরণে বার বার তিনি প্রমাণ করতে চাইছেন তিনি চিরস্থায়ী ক্ষমতার অধিকারী। যা অনাগত কালে ও সম্ভব নয়। তার শিকড় বাংলাদেশে নয় তার শিকড় যেন ভিন্নদেশে।তিনি দেশের প্রধাণমন্ত্রী নন, আ’লীগ বা অন্য কোন দেশের প্রধাণমন্ত্রী। যে কারণে দেশও দশের প্রতি নেই কোন মায়া। একের পর এক পর দেশের সাথে চুক্তি করে স্বদেশের সর্বশান্ত করে জলাঞ্জলী দিচ্ছেন সবকিছু। বিশেষ করে ইসলামপন্থীদের উপর দমন পীড়ন দেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে। ২৮ অক্টোবরের শহীদ ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্বজনারা অপেক্ষায় আছেন খুনিদের বিচারের প্রত্যাশায়। যাদের নির্দেশে একটা শান্ত জনপদ অশান্ত হয়ে গেল, সমাজিক সম্প্রীতি খান খান হয়ে গেল। দেশাভ্যন্তরে ঐক্যের পরিবর্তে বিভেদের কালো মেঘে ঢেকে গেল, কে না চায় তাদের বিচার ? সে বিচারের প্রতিক্ষায় বাংলাদেশ। প্রকৃত অপরাধীদের বিচার বাংলার জমিনে হবেই, ইনশাআল্লাহ।
আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নতুন নতুন ২৮ অক্টোবরের জন্ম দিচ্ছে। দেশবাসী শঙ্কিত , তারা জানেনা আরো কত ২৮ অক্টোবর তাদের দেখতে হবে । ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ জামায়াতে ইসলামীর এ্যসিসট্যেন্ট সেক্রেটারী জেনারেল জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার উপর মিরপুরের কসাই কাদের মোল্লার সকল অপরাধের দায়ভার চাপিয়ে দিয়ে ফাঁসির আদেশ দেয় কথিত যুদ্ধপরাধ ট্রাইবুনাল। দেশের মানুষ এ ক্যাঙ্গারু ট্রাইবুনালের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ করে রাজপথে নেমে আসে। পাখির মত গুলি করে দেশব্যাপী হত্যা করে ২৫ জনের অধিক ইসলাম প্রিয় জনতাকে। ট্রাইবুনাল কর্তৃক ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ ইং মাওলানা সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষনার পর লক্ষ লক্ষ মানুষ এই অন্যায় রায় প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে প্রতিবাদ করতে নেমে আসলে পাখির মত গুলি করে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় দু’ই শতাধিক কুরআন প্রেমিক মানুষকে হত্যা করা হয়। ট্রাইবুনালকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে ইসলাম বিদ্বেষী সরকার শাহাবাগে ’গনজাগরণ মঞ্চ’ নামক নতুন নাটকে মঞ্চায়ন শুরু করে। এ মঞ্চ আল্লাহ,রাসুল ,ইসলাম,সালাত নিয়ে মারাত্মক ভাবে কুটুক্তি করে ও দেশে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের দাবী তুলে । তখন হেফাজতে ইসলাম নামে আলেমদের সম্মিলিত সংগঠন গণজাগরন মঞ্চের ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকান্ড বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ । ৫ মে ২০১৩ দাবী আাদায়ের লক্ষ্যে ঢাকায় মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ আহবান করে। সেদিন ৬ মে রাতের আধাঁরে ফ্যাসিষ্ট সরকার সত্যানুসন্ধানী মিডিয়াগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়ে ও লাইট পোষ্ট বন্ধ করে দিয়ে ঘুমন্ত,ইবাদতরত ক্লান্ত মুসাফির আলেম- ওলামাদের উপর এক নারকীয় হত্যাকান্ড পরিচালনা করে। সে গণহত্যার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো সরকার জনগণের কাছে উপস্থাপন করতে পারেনি। এভাবে আরো অনেক ঘটনা ফ্যাসিষ্ট সরকার এর পর এক ঘটিয়ে চলছে। প্রতিটি ঘটনায় য়েন ২৮ অক্টোবরকে হার মানিয়ে নতুন ২৮ অক্টোবর রচনা করছে।
২৮ অক্টোবর আমাদের প্রেরণার সুউচ্ছ মিনার। ২৮ আমাদের স্বরণ করিয়ে দেয় আন্দোলনকে মনজিলে পৌছাতে হলে ত্যাগ কুরবাণীর বিকল্প নেই। আন্দোলন হল একটি নির্মাধীন ঘর। শহীদরা এ ঘরের চিরস্থায়ী খুঁটি। যারা জীবন্ত শহীদ হাত-পা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারিয়ে আমাদের দিকে অপলক দৃষ্টিতে বারবার তাকিয়ে একটি প্রত্যাশিত দিনের জন্য প্রতিক্ষা করছে তারা ঘরের ছাদ। এখানে আন্দোলনের কর্মীরা ছায়া নেয়, উজ্জীবনী শক্তি সংগ্রহ করে সম্মুখে এগিয়ে চলে সাহসের সাথে দ্বিধাহীন সোজা রাজপথে। এখানে কেউ কেউ এই ঘরের চিরস্থায়ী অধিবাসী হয়ে যান অনন্ত কালের অনাগত ভবিষ্যতের জন্য প্রেরণার চিহৃ স্বরুপ। এ পথে শাহাদাত ত্যাগ কুরবাণী স্বাভাবিক পরিক্রমা। কেউ শহীদ কেউ বা গাজী। কারণ খোদাদ্রোহী জনপদকে বদলে দেয়ার চ্যালেঞ্জ সমাজের নরখাদকদের মুখে এক প্রচন্ড চাপেটাঘাত। আর মুক্তিকামী হেরার রাহের যাত্রীদের কাছে এর বিকল্প কোন মাঞ্জিল খোলা নেই। বাতিল শক্তির লড়াই তাগুতের বিজয়ের তরে আর সত্যপন্থীদের লড়াই আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ের তরে। এ লড়াইয়ে বিজয় নিশানা উড়াতে সম্মুখে আগোয়ান হওয়াই এখন সবার অন্যতম মিশন।
Discussion about this post