কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার ঘটনায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করে ধর্মপ্রান মুসলমানেরা। এ সময় পুলিশ তাদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালায়। বুধবার রাতের পুলিশের ওই গুলিতে তিন জন নিহত হয়েছে ও অসংখ্য মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়া অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার পর বুধবার রাত থেকে হাজীগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
কি ঘটেছিলো কুমিল্লার পূজামণ্ডপে?
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন মঙ্গলবার খুব ভোরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর আসে যে নানুয়ারদীঘির পূজামণ্ডপের ভেতরে প্রতিমার পায়ের কাছে একটি কোরআন রাখা আছে।
খবর পেয়েই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।
পুলিশ সেখান থেকে কোরআন নিয়ে আসেন।
কিন্তু দশটা নাগাদ একটি ছবি ব্যাপক ভাবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়াতে থাকে যেখানে দেখা যায় প্রতিমার হাঁটুর কাছে কোরআন।
অনেকে এটি দিয়ে নানা ধরণের লাইভ বক্তব্য দিয়ে কোরআন অবমাননার প্রতিবাদ জানান। তবে অধিকাংশই বলছেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেছেন বেলা এগারটার দিকে হঠাৎ কোরআন অবমাননা হয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে।
তিনি বলেন সকালে নানুয়ারদীঘির মণ্ডপে কোরআন নজরে পড়লে দ্রুত পুলিশকে জানানো হয় এবং পুলিশ তখনি এসে কোরআনটি সরিয়ে নেয়। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মাদ্রাসা ও ধর্মপ্রান মুসলমনেরা প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। সেই প্রতিবাদে পুলিশ গুলি চালায়।
এদিকে ঘটনার পরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোরআন অবমাননা প্রতিবাদের বিক্ষোভ ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেন। অনেকেই প্রতিবাদ জানান।
বিশ্লেষকরা কি বলছেন?
বিশ্লেষক মনে করছেন এটি কোন ধর্মীয় দাঙ্গা নয়। ক্ষমতাসীনরা রাজনীতি দাঙ্গা সামাল দিতে নতুন করে ধর্মীয় দাঙ্গা তৈরী করছে। সরকার দ্রব্যমুলের দাম বাড়িয়েছে। সেই ঘটনায় যখন সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করছে ঠিক তখন এই ধর্মীয় দাঙ্গা তৈরী করতে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
তারা বলছেন, ব্যাংক লুটের পর এবার বাজারে পড়েছে আওয়ামী নামক শকুনদের থাবা। এই শকুনগুলো ক্ষুধার্ত হলেই খাবারের জন্য রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের উপর থাবা বসায়। তেমনিই ইস্যু ঢাকতে নতুন করে ইস্যু তৈরী করে। এই শকুনদের হিংস্র থাবায় রাষ্ট্রের সব অর্থনৈতিক খাত একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। কথিত উন্নয়নের নামে ওরা লুটেপুটে সব সেক্টর শেষ করে দিয়েছে। ওদের খাওয়ার আর জায়গা নাই। এখন ওদের খাদ্যের দরকার হলেই থাবা বসায় নিত্যপণ্যের দামের উপর। এই ইস্যু চাপা দিতেই কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটিয়েছে।
Discussion about this post