অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি এখন খুবই ভয়াবহ। কথিত উন্নয়নের নামে আওয়ামী লীগ দেশটাকে একেবারে ধ্বংস করে ফেলেছে। বর্তমানে দেশের মানুষের কোনো অধিকার নাই। শেখ হাসিনা সবই কেড়ে নিয়েছে। বিশেষ করে দেশের মানুষের জান-মালের কোনো নিরাপত্তা নাই। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে নিরাপদে সন্ধ্যায় আবার বাসায় ফেরার নিশ্চয়তা এখন নাই।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হল-বর্তমানে দেশে নাগরিকদের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘিত হচ্ছে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা। দিনে-দুপুরে ভিন্নমতের মানুষকে বাসা-বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হচ্ছে। মানুষ গুম-খুন ও অপহরণের শিকার হচ্ছে। গুম-অপহরণ হওয়া লোকদের মধ্যে গুটি কয়েকজন ফিরে আসলেও বেশিভাগ লোকজনের কোনো সন্ধান মিলছে না। আর যারা আসছে তারাও আবার গুম হওয়ার ভয়ে মুখ খুলছে না।
তারপর-কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই তাকে রাতের আধারে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেশের মানুষ এখন চরম অনিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করছে। সহজ কথায় বললে-পৃথিবীতে যদি অনিরাপদ দেশের তালিকা করা হয় তাহলে তালিকার উপরের থাকবে বাংলাদেশের নাম।
অথচ এমন পরিস্থিতিতেও দিন দিন নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদার করছে শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে সরকারি বাসভাবন গণভবন নিজেদের নামে লিখে নিয়েছে। আর এসএসএফ সার্বক্ষণিক শেখ হাসিনাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এখন আবার তার পরিবারের চৌদ্দগোষ্ঠীকে এসএসএফের নিরাপত্তার জন্য সংসদে বিল উত্থাপন করেছে।
জানা গেছে, শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের দৈহিক নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে শুক্রবার জাতীয় সংসদে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) বিল-২০২১’ নামে একটি বিল আনা হয়েছে।
বিলে জাতির পিতার পরিবারের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা এবং তাদের সন্তানাদি ও ক্ষেত্রমতো ওই সন্তানাদির স্বামী বা স্ত্রী এবং তাদের সন্তানাদি।
বিলে বলা হয়েছে, শেখ মুজিবের পরিবারের সদস্যরা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন এসএসএফ তাদের দৈহিক নিরাপত্তা দেবে। এসএসএফ তার কাজের প্রয়োজনে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছেও সহায়তা চাইতে পারবে। যাদের কাছে সহায়তা চাওয়া হবে তাদের তা দিতে বাধ্য হবে বলে খসড়া আইনে বলা হয়েছে। মুজিব পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ এ যাই থাকুক না কেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইনকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষ বলছেন-শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের সাথে আওয়ামী লীগের নেতারাই জড়িত ছিল। শেখ হাসিনা নিজেই সেদিন বলেছেন-হত্যাকাণ্ডের আগে শেখ মুজিব রাজ্জাক, তোফায়েল ও শফিউল্লাহর সাথে কখা বলেছিলেন। কিন্তু কেউ আসেনি। এর মানে তারাও এই হত্যাকাণ্ডের কথা জানতেন। এই পরিকল্পনার সাথে তারাও জড়িত ছিলেন।
তাদের মতে-শেখ হাসিনা বুঝতে পারছেন-আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে আবারো বড় ধরণের চক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য তিনি নিজের ও পরিবারের লোকজনের নিরাপত্তা নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাই এবার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আইন পাস করছেন।
Discussion about this post