অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন দেশের প্রাচীনতম ইসলাম দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসিচব, হাজারো আলেমের ওস্তাদ, বারিধারা মাদরাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শাইখুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঠান্ডাজনিত রোগসহ বয়স্ক আল্লামা কাসেমী বার্ধাক্যজনিত অনেক রোগে ভুগছিলেন। তার ফুঁসফুঁসেও আক্রান্ত ছিল। তবে, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। হাসপাতালে তার একাধিকবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
আল্লামা কাসেমীর মৃত্যুতে শুধু এদেশের আলেম সমাজই নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষ শোকাহত। সবাই তার মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করছেন।
জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার সকাল ৯ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে তার নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ওলমায়ে কেরামসহ তার স্বজনরা। ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য জানাযায় রেকর্ড সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হবেন।
কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পরিচিত অনলাইন মিডিয়া বাংলাট্রিবিউন এখন মৃত কাসেমীকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে এই অনলাইনটি সংবাদ প্রচার করছে। অথচ দেশের কোনো মিডিয়াই এমন সংবাদ প্রচার করেনি।
প্রথম আলো লিখেছে, শুক্রবার রাত আটটার দিকে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফল নেগেটিভ আসে। তাহলে বাংলা ট্রিবিউন এই সূত্র কোথা থেকে পেলো?
জানা গেছে, বাংলাট্রিবিউনের এই সাংবাদিক চৌধুরী আকবর একজন ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। সে সব সময় তার ফেসবুকে আলেম-ওলামা ও ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর জানাযার নামাজ বন্ধ করতেই ইসলাম বিদ্বেষী সাংবাদিক চৌধুরী আকবর উপর মহলের নির্দেশে নূর হোসাইন কাসেমী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সরকারের টার্গেট নূর হোসাইন কাসেমীর জানাযাকে কেন্দ্র করে যাতে দেশের আলেম সমাজ একসাথে জমায়েত না হতে পারে। এই জন্য করোনা অজুহাত দিয়ে অপপ্রচার করছে।