অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদকে হত্যার ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। উত্তরপাড়া হিসেবে খ্যাত ক্যান্টনমেন্টের সেই উত্তেজনা এখনও থামেনি। বিশেষ করে মেজর সিনহার সাবেক কর্মস্থল কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে এখনো চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে কর্মকর্তাদের মধ্যে। সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদেরকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছে সরকার।
কিন্তু এই উত্তেজনার মধ্যেই নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করে দাত ভেঙ্গে ফেলেছে ঢাকার সন্ত্রাসী হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগের এমপি হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান। সন্ত্রাসী ইরফান শুধু নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকেই মারধর করে ক্ষ্যান্ত হয়নি, তার স্ত্রীর গায়েও হাত তুলেছে।
এসব ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সেনা কর্মকর্তা থেকে নৌবাহিনী কর্মকর্তা এরপর কে? ক্ষমতাসীনদের ইন্ধনে আইনশৃংখলাবাহিনী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতারা পর্যন্ত সবাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিমকে মারধরের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পরই ক্যান্টনমেন্টে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে নৌবাহিনীর সদর দপ্তরসহ সারাদেশের ঘাটিগুলোতে অবস্থানরত কর্মকর্তারা প্রচণ্ড ক্ষুব্দ হয়ে উঠে।
জানা গেছে, ডিজিএফআইয়ের লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে সরকারকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ক্ষোভের কথা জানায়।
এরপরই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের লোকজন সেনা-নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানকে ফোন করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সরাসরি এটাকে মনিটরিং করছেন। সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদেরকে তিনি শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার পর শেখ হাসিনাসহ সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা গেছে।