অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত যে কয়জন রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, তাদের সবচেয়ে ডিগ্রি ও উপাধি পাগল নেতা হলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজনীতিতে তিনি ডিগ্রি বা উপাধি অর্জনকেই তিনি বেশি সম্মানসূচক বলে মনে করেন।
শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত ৩৭টি ডিগ্রি ও ১১টি উপাধি পেয়েছেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান থেকে এসব ডিগ্রি ও উপাধি তিনি টাকার বিনিময়ে লবিং করে নিয়েছেন। এসব করতে গিয়ে শেখ হাসিনার সম্মানহানিও একেবারে কম হয়নি।
দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট ভিত্তিক প্রভাবশালী বিজনেস ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’ এর দেয়া লেডি অব ঢাকা থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের ভুয়া একটি অনলাই মিডিয়ার দেয়া -মাদার অব হিউম্যানিটি, মিশরের রাষ্ট্রদূতের দেয়া-কারিশম্যাটিক লিডার, আরব আমিরাতের একটি পত্রিকার দেয়া-প্রাচ্যের নতুন তারকা, ভারতীয় এক রাজনীতিকের দেয়া-বিশ্বের নেতা। শুধু তাই নয় কানাডার এক মন্ত্রীর দেয়া-নারী অধিকারের স্তম্ভসহ সর্বশেষ টাকা খেয়ে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের দেয়া বিশ্ব শান্তির দূত হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন এই নেত্রী।
এসব উপাধির মধ্যে ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি’’ নিয়েই আওয়ামী লীগ নেতারা ঢালাও ভাবে প্রচাররণা করে আসছে। ২০১৭ সালে নোবেল পাওয়ার আশায় রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু নোবেল আর তার কপালে জোটেনি।মান সম্মান বাচাতে তখন হাসিনার পুত্র জয় যুক্তরাজ্যের একটি অনলাইন পত্রিকাকে কিছু টাকা দিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপাইছিল। ওই প্রতিবেদনে হাসিনাকে মাদার অব হিউম্যানিটি বলে উল্লেখ করেছিল। এরপর থেকেই আ.লীগ নেতারা সভা সমাবেশ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মাদার অব হিউম্যানিটিকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে গাল গল্প বলেই চলছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাকে চাপা দিয়েও আন্তর্জাতিক মহল থেকে কিছু একটা পাওয়ার ধান্ধা করেছিলেন শেখ হাসিনা। লবিংও করেছেন। কিন্তু সুবিধা করতে পারেনি নি।
তবে, বাংলাদেশের জনগণ এবার শেখ হাসিনাকে বিমুখ করেনি। দেশে দীর্ঘদিন ধরেই হাসিনার সোনার ছেলেরা প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থানে গৃহবধূ থেকে শুরু করে গৃহকর্মীদেরকে পর্যন্ত ধর্ষণ করে যাচ্ছে।
জনগণ মনে করছে, ছাত্রলীগের ধারাবাহিক ধর্ষণকাণ্ডে শেখ হাসিনা নিসন্দেহে কিছু একটা পাওয়ার দাবি রাখে। কারণ, এত সমালোচনার পরও ছাত্রলীগের ধর্ষকদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিয়ে শেখ হাসিনা তাদেরকে দুধ-কলা খাইয়ে পুষছেন। শেখ হাসিনার এই অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না। তাই, জনগণ এবার শেখ হাসিনাকে ‘‘মাদার অব রেপিস্টস’’ উপাধিতে ভূষিত করেছে।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তুমুল সমালোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, যে নেত্রী সেঞ্চুরিয়ান ধর্ষককে মাথায় হাত বুলিয়ে সান্তনা দিতে পারেন তিনিইতো ধর্ষকদের মা।