অ্যনালাইসিস বিডি ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশে একজন মারা গেছেন। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪ জন। দেশে এখন করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়ালো ১৫ জনে। এটা হলো সরকারি হিসাব।
তবে বিশিষ্টজনসহ সাধারণ মানুষ বলছেন বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। পরীক্ষা করার মতো কোনো ল্যাব না থাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। এছাড়া সরকারের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা করোনায় আক্রান্ত রোগীর সঠিক সংখ্যা গোপন করছে বলেও মনে করছেন অনেকে।
সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো- নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে করোনার মতো মহামারি নিয়েও সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা পাগলামি শুরু করেছে। দিন যত যাচ্ছে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। গত সোমবার আক্রান্ত হয়েছিল ২ জন। আর মঙ্গলবার আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন। অর্থাৎ দ্বিগুন বেড়েছে। এর মধ্যে একজন মারাও গেলেন। কিন্তু এরপরও সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা নাকি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছেন।
গত সোমবার আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মো. নাসিম মুজিববর্ষের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, শেখ হাসিনার মতো এমন একজন নেত্রী পেয়েছি বলেই আজ আমরা করোনাকে প্রতিরোধ করতে পারছি।
আর বুধবার সরকারের তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পুরো ইউরোপে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আর গত সপ্তাহে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানের সময়ের সব চেয়ে গুরুতর সমস্যা হলো করোনাভাইরাস, জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী তখন কোনো ভাইরাস নিয়েই আমাদের চিন্তা নেই।
যেখানে আজকেও নতুন করে চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর একজন মারা গেছেন। সেখানে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমদু দাবি করছেন, করোনাকে তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছেন।এর চেয়ে পাগলামি আর কি হতে পারে? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনায় আ্ক্রান্ত প্রথম রোগীর বিষয়টিও শেখ হাসিনা গোপন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মোদি মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আসতে অস্বীকার করায় শেখ হাসিনা এটা প্রকাশ করেছে।