অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
একটি প্রবাদ আছে, পরের জন্য খাদ তৈরি করলে সেই খাদে নিজেই পড়তে হয়। গণবিচ্ছিন্ন নেতা ড. কামাল হোসেনের ক্ষেত্রে এই প্রবাদটির যথাযথ প্রতিফলন ঘটেছে। সরকারের পরামর্শে বিএনপি জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ভাঙতে কথিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নামে একটি খাদ তৈরি করেছিরেন ড. কামাল। নিজের তৈরী সেই খাদেই নিজেই পড়ে গেলেন কামাল।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সেনা শাসিত সরকারের সহযোগিতায় ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনার প্রথম টার্গেট ছিল ২০ দলীয় জোটে ভাঙন ধরানো। এ মিশন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে শেখ হাসিনা কথিত যুদ্ধাপরাধের ভিত্তিহীন অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর নিরপরাধ শীর্ষনেতাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। এছাড়া জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর দমন পীড়নতো আছেই।
জামায়াতের সঙ্গে জোট করায় বিএনপিকেও স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। জামায়াত ছাড়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহল দিয়ে বিএনপির উপর চাপ সৃষ্টি করেছে শেখ হাসিনা। কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে না আসায় পরে কামালকে দিয়ে নতুন ষড়যন্ত্রে নামেন শেখ হাসিনা।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগ থেকে শুরু করে জামায়াত থেকে বিএনপিকে আলাদা করতে আজ পর্যন্ত এমন কোনো কৌশল নেই যা কামাল সাব অবলম্বন করেনি। কিন্তু বর্ণচোরা কামালের কোনো চক্রান্ত ষড়যন্ত্রই কাজে আসেনি। ২০ দলীয় জোটতো ভাঙেনি বরং কামালের নিজের দল গণফোরাম এখন ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।
গত এক বছরে কামালের দলে কয়েক দফা বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ঠেকাতে না পেরে কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেছে কামাল। জানা গেছে, বিদ্রোহী গ্রুপের নেতারা যেকোনো সময় কামাল থেকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করে তারা নতুন কিমিটির ঘোষণা দিতে পারেন। আর এমনটা হলে সেটা হবে রানৈতিক মৃত্যুবরণকারী কামালের দাফন।