সুবর্ণচরের চরমজিদে অস্ত্রের মুখে ২ সন্তান ও শাশুড়িকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা। এ ব্যাপারে চরজব্বর থানায় মামলা না নেয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
গতকাল দুপুরে রাজনৈতিক তদ্বিরে ভিকটিমকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়েছেন ডিউটি ডাক্তার। চরম নিরাপত্তা ও হুমকির মুখে তাদের বাড়িতে যাওয়া হয়েছে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতা (২৫) জানায়, তার স্বামী একজন জেলে। তিনি প্রতি মৌসুমের মতো এবারও মাছ ধরতে নদীতে গেছেন। এ সুযোগে এলাকার প্রভাবশালী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাহার, হেলাল ও মিরাজ তাকে প্রায় সময় কুপ্রস্তাব দিতো। তিনি রাজি না হওয়ায় শনিবার রাত ২টায় হেলাল, মিরাজ ও বাহার বন্দুক, রাম দা নিয়ে তার ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তার শাশুড়ি, ছেলে সাইফুল (৫) ও মেয়ে নেহাকে (৩) জিম্মি করে শাশুড়ি ও সন্তানদের সামনে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চরজব্বর হাসপাতালে ভর্তি করেন। জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসক জানায়, ধর্ষিতার রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না। তার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভিকটিম এ প্রতিনিধিকে জানায়, ঘটনার পরদিন থেকে ২-৩ বার থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা না নেয়ায় বুধবার ধর্ষক বাহার, হেলাল ও মিরাজকে আসামি করে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত করে কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য এর আগে ধানের শীষে ভোট দেয়ায় ভোটের দিন রাতে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে আওয়ামী লীগ মেম্বার রুহুল আমিন। এরপরে ঐ আওয়ামী লীগ নেতাকে কোন শাস্তি না দিয়ে ১ বছরের জামিন দেয় হাইকোর্ট। এরপর থেকে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের দৌরাত্ম্য আরও বেড়েই চলছে।
তথ্য সূত্র: মানবজমিন