অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
পৃথিবীর ইতিহাসে নমরুদ ছিল এক মহাপ্রতাপশালী জালেম-অত্যাচারী বাদশাহ। তার মিথ্যা খোদায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আসল খোদার সাথে আকাশে ওঠার চেষ্টা করে পাগলামি-উন্মাদনার এক অভিনব রেকর্ড সৃষ্টি করছিল। নমরুদকে খোদা বলে স্বীকার না করার কারণে হযরত ইব্রাহীম (আ) কে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিলো। নমরুদের হুকুম যারা মানতো না এমন কোনো জুলুম-নিপিড়ন নেই যা তাদরে ওপর আসতো না।
এরপরেও যুগে যুগে নমরুদরা এসেছে। ওই নমরুদের সাথে পররর্তী যুগের নমরুদদের পার্থক্য ছিল শুধু তারা নিজেকে খোদা দাবি করেনি কিন্তু তাদরে কর্মকাণ্ড ছিল সেই নমরুদদের মতোই। নিজেদের একক ক্ষমতা প্রতষ্ঠিত করার জন্য জনগণের ওপর তারাও চালয়িছেে জুলমু নির্যাতনের স্টিম রোলার। এখনো বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই নমরুদদের শাসন চলছ।
এর মধ্যে জ্বলন্ত উদাহরণ হলো বর্তমান বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার বিগত ১১ বছরের শাসন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সেই নমরুদের চেয়ে তিনিও কোনো দিক থেকে পিছিয়ে নেই। ক্ষমতাকে ধরে রাখতে এবং জনগণের ওপর তার একক আধিপত্য বিস্তারের জন্য নমরুদের মতোই অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন।
হাসিনা তার বিগত ১১ বছরের শাসনামলে সবচয়েে বেশী অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে এদেশের সবচয়েে বড় ইসলামী শক্তি জামায়াতে ইসলামীর ওপর। শুধু মাত্র আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করার কারণে কথতি যুদ্ধাপরাধরে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভযিোগ তুলে জামায়াতের র্শীষ ৬ নেতাকে ফাঁসতিে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এছাড়া জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশবিরিকে নির্মূল করার লক্ষ্যে দুইটি সংগঠনরে সহস্রাধকি নেতার্কমীকে গুম-অপহরণ ও কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে গুলি করে হত্যা করেছে। তার অবধৈ র্কতৃত্বকে মেনে না নেওয়ার কারণে প্রতদিনই নেতাকর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করছে।
শুধু জামায়াত-শিবির নয়, হাসিনার বিরোধী যত দল মতের লোক আছে সবার ওপরই চালিয়ে যাচ্ছে নির্মম নির্যাতন। বিএনপির শত শত নেতাকর্মীও নির্মমভাবে হত্যা করছেে তিনি।
এছাড়া দেশে এখন অপরাধের মহোৎসব চলছে। এমন কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ড নেই যা এখনও দেশে ঘটেনি। খুন-র্ধষণ দেশে এক মহামারি আকার ধারণ করছে। সহজভাবে বললে দেশে এখন পাপাচারে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
দেশে যে নমরুদের শাসন চলছে এবং অনাচার-পাপাচারে যে দেশে ভরে গেছে সেটা এখন হাসিনার দলের লোকজনই টের পাচ্ছে। শেখ হাসিনার ডান হস্ত হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান বর্তমান অবস্থাকে নমরুদের শাসন বলে তুলনা করছেন। যদিও তিনি এখানে শেখ হাসিনার নাম মুখে উচ্চারণ করেননি।
মঙ্গলবার একটি সভায় শামীম ওসমান বলছেনে, ‘এডিস মশা বিনা কারণে আসে না। এই মশার উদ্ভব হয়ছেে নমরুদের সময়। নমরুদ যখন অনাচার করছলিো দুনিয়াতে। একটা মশা এসে তার নাক দিয়ে ঢুকে গিয়েছিলো। ওই মশার নাম কি ছিল আমি জানিনা। মশার অত্যাচারে সে তার মাথায় বাড়ি দিতে বলেছিল। মশা দিয় আল্লাহ তাকে শিক্ষা দিয়েছলেন। যখন কোনো দেশে পাপাচার হয়, এটা ন্যাচারাল গজব।
এখানে শামীম ওসমান মুখে হাসিনার নাম উচ্চারণ না করলেও সচতেন মানুষরে আর বুঝার বাকী নেই যে তিনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন।
এমনকি সাধারণ মানুষ মনে করছেন বিরোধী দল সহ সাধারণ মানুষের ওপর শেখ হাসিনার অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা এখন মারাত্মক পর্যায়ে চলে গেছে। অপরাধীরা অবাধে অপরাধ কর্মকাণ্ড করলেও সরকার নিরব ভূমিকা পালন করছে। এমনকি হাসেনার সোনার ছেলেরা হাজার অপরাধ করেও থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। শেখ হাসিনার পেটুয়া বাহিনী ও সোনার ছেলেদের হামলা-মামলার ভয়ে মানুষ মুখ খুলতে পারছে না। যার কারণে বাংলাদশেে এখন বিভিন্ন সময় আল্লাহর পক্ষ থকেে প্রাকৃতকি গজব নাযলি হচ্ছে।