অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
স্কুলে স্কুলে গিয়ে মুসলিম বাচ্চাদের প্রসাদ খাইয়ে হরে কৃষ্ণ হরে রাম বলতে বাধ্য করছে হিন্দু বৈষ্ণব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-ইসকন।
গত ১১ জুলাই থেকে চট্টগ্রাম নগরীর প্রায় ৩০টি স্কুলের শিক্ষার্থীর মাঝে এই প্রসাদ বিতরণ করে তারা। এসময় ইসকন কর্মীরা কোমলমতি শিক্ষার্থীরা হরে কৃষ্ণ হরে রাম নামে এই মন্ত্রপাঠ করান।
কারা এই ইসকন? মুসলিম বাচ্চাদের প্রসাদ খাওয়ানোর উদ্দেশ্য কি তাদের?
অ্যানালাইসিস বিডির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এটি একটি হিন্দু বৈষ্ণব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। যার পুরো নাম ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) বা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ। এর মুল উদ্দেশ্য মুসলিম বাচ্চাদেরকে বিপথগামী করে ধর্ম থেকে দুরে ঠেলে দেওয়া এবং ধর্মকে বিতর্কিত করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করা।
অনুসন্ধানে বলছে, ইসকন এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে। ইসকন নামক এই উগ্র সংগঠনটি ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় উস্কানীসহ নানাভাবে উত্তেজনা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। ২০১৬ সালে ঢাকাস্থ স্বামীবাগে মসজিদের তারাবীর নামাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো এই ইসকন। জানা যায় নামজের সময় ইসকনের গান-বাজনা বন্ধ রাখতে বলায় তারা পুলিশ ডেকে এনে তারাবীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে বিষয়টি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এসময় সিলেটে একটি মসজিদেও একই ঘটনা ঘটে।
এদিকে মুসলিম শিশু-কিশোরদের মাঝে হিন্দুত্ববাদের স্লোগান দিয়ে কৃষ্ণ প্রসাদ বিতরণের কঠোর সমালোচনা করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
তিনি বলেন, ৯০% মুসলিম অধ্যুষিত দেশে অবুঝ মুসলিম শিশু-কিশোরদেরকে এভাবে “হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে, মাতাজি প্রসাদ কি জয়” শ্লোগান দেয়ানো চরম ধৃষ্টতার শামিল। মুসলিম শিশুদের পবিত্র মুখে এসব কুফুরী শব্দ উচ্চারণ করিয়ে কৌশলে ঈমান হরণের অপচেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পুণ্যের ভাবনা থেকে তাদের দেবতার নামে উৎসর্গকৃত খাবারের অবশেষ এসব প্রসাদ আহার করে থাকে। এই প্রসাদ আহার করা মুসলমানদের জন্য হারাম। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবেন। তবে নিজেদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান অন্য ধর্মের কারো উপর চাপিয়ে দেয়া ধর্মীয় অধিকার ও অনুভূতিতে হস্তক্ষেপের শামিল। এটা সংবিধান পরিপন্থী।
এমন একটি কর্মকান্ড করতে কিভাবে সরকার অনুমতি দিলো এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন, বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে এই কর্মসূচি সরকারের অনুমতি নিয়েই করেছে ইসকন। সরকার কীভাবে অনুমতি দেয় এই কর্মসূচির? ইসকনের এই ‘ফুড ফর লাইফ’ প্রোগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হচ্ছে ধর্মীয় শ্লোগান দেয়া। সারা পৃথিবীতে তারা এই কাজ করে। বাংলাদেশ অনুমতি দেওয়ার আগে কি খোঁজ নিয়ে দেখেনি এই কর্মসসূচি কীভাবে হয়? এর দায় কি সরকার এড়াতে পারে?
তারা বলছেন, মারের ভয় দেখায়ে ইন্ডিয়াতে মুসলমানদের “জয় শ্রীরাম” বলানো আর খাবারের লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশের স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের “হরে কৃষ্ণ” বলানো কি একই পর্যায়ের অপরাধ নয়?
সোশ্যাল এক্টিভিস্টরা বলছেন, এসব কর্মকাণ্ডকে বলা হয় সাম্প্রদায়িক উস্কানি। সারা পৃথিবীতে ইসকন এই কর্মকণ্ড পরিচালনা করছে। বাংলাদেশেও ইসকনের উদ্দেশ্য এভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করা।
মুসলিম বাচ্চাদের প্রসাদ খাইয়ে কৃষ্ণ কৃষ্ণ রাম রাম বলানোর ভিডিও দেখুন: