অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন শেখ মুজিবের আদর্শের কথা বললেও তাদের নানা অপকর্মের করনে ইতিমধ্যেই একটি সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন নামে পরিচিতি হয়ে উঠেছে। এখনও তারা বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, ধর্ষণ, খুন-হত্যাসহ বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে তাদের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক প্যারাড ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরীর জানাযায় আগত মুসল্লিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মুসল্লিারাও আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ধরে নিলাম মুমিনুল হক চৌধুরী রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ ছিলেন। তাই বলে কি মৃত ব্যক্তির জানাযার নামাজেও হামলা করতে হবে? এটাও তাদের পিতা শেখ মুজিবের স্বপ্নের অংশ কিনা আমাদের জানা নেই। একজন মৃত ব্যক্তির সঙ্গে এমন নিষ্ঠুর আচরণও এক প্রকার মানবতাবিরোধী অপরাধ।
দেখা গেছে, বিগত ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বহু জানাযায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সাধারণ মানুষকে রক্তাক্ত করেছে। দুই বছর আগে রাজধানীর বাড্ডাতেও জামায়াত নেতা হারুন অর রশিদের জানাযার নামাজে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে অনেককে আহত করেছিল। মূলত এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জঙ্গিবাদী ছাত্রলীগ তাদের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে।
এখানে সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্যারেড মাঠে জামায়াত নেতার জানাযার অনুমতি দেয়ার আগে আমাদেরকে কিছুই জানানো হয়নি।
এখন প্রশ্ন হলো-ছাত্রলীগ এদেশের কে? দেশটা কি তাদের পৈত্রিক সম্পদ? জানাযার নামাজের জন্য তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে কেন? অনুমতি দেয়ার জন্য ছাত্রলীগের সঙ্গে প্রশাসনের কথা বলতে হবে কেন?