অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ভোট ডাকাতির ডাকসু নির্বাচনের বৈধতা পাওয়ার জন্যই মূলত সরকারের চাপে রাতের আধারে ফলাফল পরিবর্তন করে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজোয়ানুল হক শোভনকে বাদ দিয়ে নুরুল হক নুরকে ভিপি ঘোষণা করেছিলেন ঢাবি ভিসি ড. আখতারুজ্জামান।
নুরকে ধরে ছাত্রলীগ সভাপতির কোলাকুলি ও গণভবনে ডেকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দন জানানো ছিল একটি বড় ধরণের প্রতারণা। এসব ছিল শুধুই মানুষ দেখানোর জন্য। মন থেকে তারা নুরকে ভিপি হিসেবে মেনে নেয়নি। শুধু ভোটডাকাতি চাপা দিতেই একটা কৌশল নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যা প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হচ্ছে। ডাকসুতে কর্মচারী নিয়োগসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত ভিপিকে ছাড়াই গ্রহণ জিএস ও ছাত্রলীগ সেক্রেটারি গোলাম রাব্বানি। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ডাকসুর গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কিন্তু ভিপি নুরকে কিছুই জানাচ্ছেন না। ভিপি নুর এখন ডাকসুতে খেলার পুতুল মাত্র।
লক্ষণীয় বিষয় হলো-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নির্বাচিত ভিপিকে তারা এখন কোথায় সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। এমনকি পবিত্র রমজান মাসে ইফতার মাহফিলও করতে দিচ্ছে না। শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ভিপি নুরকে ইফতার মাহফিল করতে দেয়নি ছাত্রলীগ। ওই খানে তারা নুরের ওপর হামলা করারও চেষ্টা করেছে। পরে পুলিশ এসে নুরসহ তার সকল সঙ্গীদেরকে উদ্ধার করেছে।
এরপর, নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে বগুড়ায়। রোববার সাধারণ ছাত্র পরিষদের একটি ইফতার মাহফিল ছিল বগুড়ায়। ইফতারে অংশ নিতে বগুড়ায় গিয়েছিলেন ভিপি নুরসহ আরও কয়েকজন। কিন্তু ইফতারে যোগদানের আগেই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের এই নৃশংস হামলায় নুরসহ কমপক্ষে ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পবিত্র রমজানের এই ইফতারে হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
দেখা গেছে, এই রমজান মাস আসার পরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কুত্তার মতো পাগল হয়ে গেছে। রমজানের শুরুতেই তারা পদবাণিজ্য নিয়ে তাদেরই নেতাকর্মীদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে।
শুধু এখানেই শেষ নয়। এই রমজান মাসেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। গত সপ্তাহে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় এক গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেন ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস আহমদ লেলিন। কুপ্রস্তাবে গৃহবধূ রাজি না হওয়ায় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই ছাত্রলীগ নেতা।
এরপর, কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরায় নিজেদের দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে ছাত্রলীগের অপর একটি গ্রুপ। এছাড়া চাদা না দেয়ায় সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক ব্যবসায়ীর হাতের চার আঙুল কেটে নিয়েছে এক ছাত্রলীগ নেতা।
পবিত্র এই রমজান মাসেও তারা একের পর এক হামলা-নির্যাতন, চুরি-ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।
ছাত্রলীগের এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনা। কেউ কেউ বলছেন-কুত্তা পাগল হয় ভাদ্র মাসে আর ছাত্রলীগ পাগল হয় রমজান মাসে।