অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
খুন, ধর্ষণ, হত্যা, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ, মাদক ব্যবসা, দখল-বাণিজ্য ও পদপদবী নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ব্যাপকভাবে বিভিন্ন সময় সমালোচিত হয়েছে ছাত্রলীগ। তাই এসব সমালোচনা থেকে মুক্তি ও দুর্নাম গোছাতে কৃষকের ধান কেটে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে এই সংগঠনটি।
ছাত্রলীগের ভাষায়-ধান কাটার জন্য কৃষকরা মজুর পাচ্ছে না আর পেলেও বেশি মজুরী দিতে হচ্ছে। তাই কৃষকদের এই সংকটে সারাদেশে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের এই ঘোষণা নিশ্চয় প্রশংসার দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন, আসলে এটাকেই বলে মানবসেবা। আর একটি ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণার গুরুত্বই আলাদা। কিন্তু সমস্যা হলো আস্থা-বিশ্বাস নিয়ে। ছাত্রীগের অতীত কর্মকাণ্ডে এমন কোনো রেকর্ড নেই যে তারা মানুষের সেবা করতে গিয়ে কোনো অপকর্ম করেনি। সহযোগিতার নামে ছাত্রলীগ মেয়েদের ধর্ষণ করেছে, জমি দখল করেছে, টাকা চুরি করেছে, ছিনতাই করেছে এমন ঘটনা অসংখ্য আছে।
দেখা গেছে, বিভিন্ন দুর্যোগ সময়ে ত্রাণ সহযোগিতার নামে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সরকারি কোষাগারের মালামাল নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে গেছে। গরিবদের জন্য বরাদ্দ দুম্বার গোস্ত নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আছে।
তাই এসব কারণে, ছাত্রলীগের এই ধান কাটার ঘোষণায় শুধু শিক্ষাঙ্গন বা রাজনৈতিক অঙ্গন নয় কৃষকদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ঘটানার পর কৃষকদের মধ্যে বড় একটি আতঙ্ক বিরাজ করছে। ধান কাটার পর আবার সেই ধান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ীদের কাছে কম দামে বিক্রি করে টাকা নিয়ে যেতে পারে। অথবা পকেট খরচের কথা বলে ধানের একটি অংশও তারা নিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্খা করছেন তারা।