অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত যে কয়জন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের মধ্যে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মতো এত ব্যক্তিত্বহীন আর কেউ ছিলেন না। তার মতো দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে এত তোষামোদি আর কেউ করেননি। কিন্তু প্রতিদিন শেখ হাসিনার এত বন্দনা গেয়েও দলের মধ্যে চরম ঝুঁকিতে পড়েছেন ওবায়দুল কাদের। দলীয় পদ ও মন্ত্রিত্ব দুটিকে ধরে রাখতেই এখন তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া সিনিয়রদের তালিকায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নামও ছিল। কাদের যখন জানতে পারলেন যে নবগঠিত মন্ত্রিসভা থেকে তিনি বাদ পড়ছেন, তখনই ছুটে যান গণভবনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেন। অতিকথন ও বিগত দিনের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে আরেকটি বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানান। সূত্রটি জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা কাদেরের জন্য সুপারিশ করায় মন্ত্রীত্বটা টিকে রইল।
আওয়ামী লীগের আরেকটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিত্ব টিকে থাকলেও আগামীতে আর দলের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে পারছেন না। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে আগামীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদেরকে মাঝ পথে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ দিলে দলের অভ্যন্তরে কোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে এখনই তাকে বাদ দিচ্ছেন না। তবে, আগামী কাউন্সিলে যে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসছে এটা শতভাগ নিশ্চিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ভেতরে ভেতরে ওবায়দুল কাদেরের ওপর তিনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। এজন্য শেখ হাসিনা এখন কাদেরকে বাদ দেয়ার জন্য একটি সুযোগের অপেক্ষায় আছেন।