ভোটের দিন কেন্দ্র দখলের চেষ্টা হলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর এখন পর্যন্ত তিনি ইতিবাচক কিছু দেখছেন না। তবে তিনি আশা করছেন, ভোটাররা নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। প্রশাসন ওই দিন তাঁদের সহযোগিতা করবে, নিরাপত্তা দেবে। এর কিছুই না হলে সব মেনে নেওয়া হবে না।
গতকাল শুক্রবার সকাল আটটা থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারের সময় শেষ হলেও পাঁচ দিন ধরে শাহজাহানপুরের বাসা থেকে বের হননি আফরোজা আব্বাস। তাঁর অভিযোগ, শেষ দিকে এসে পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তা দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে। তাই তিনি গণসংযোগে বের হননি।
আফরোজা আব্বাসের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমানের অভিযোগ, ঢাকা-৯ আসনে যেসব কেন্দ্র আছে, তার সব কটি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ভোট কারচুপি ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
গতকাল দুপুরে আফরোজার শাহজাহানপুরের বাসায় গিয়ে দেখা গেছে, একটি উঠানে প্যান্ডেল তৈরি করে পোলিং এজেন্টদের নানা রকম দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। হাবিবুর রহমান বলেন, ১৬৭টি কেন্দ্রে ৮০৯টি বুথ থাকবে। নিয়মানুযায়ী এসব বুথে দলের মনোনীত একজন পোলিং এজেন্ট থাকতে পারবেন। ইতিমধ্যে ৮০৯ জন পোলিং এজেন্ট তাঁরা নির্বাচন করেছেন। এ ছাড়া ভোটারদের সহায়তা করার জন্য ভোটকেন্দ্রের নির্দিষ্ট দূরত্বে দলের নেতা-কর্মীরা থাকবেন।
আর গতকাল কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে প্রথম আলোকে আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘তারা যদি কেন্দ্র দখল করে নিতে চায়, আমরা এটা হতে দেব না। আমাদের লক্ষ্য, যেকোনো উপায়ে নিজের ভোটটা নিজে দেব।’ ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা ভয় পাবেন না। ভোটকেন্দ্রে আসুন। অবিচল থেকে আপনার ভোটটা আপনি দেন। অন্য কেউ যাতে না দেয়।’
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই আসনে ভোটকেন্দ্র ১৬৭টি। এতে বুথ রয়েছে ৮০৯টি। ঢাকা-৯ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজালাল প্রথম আলোকে বলেন, এই আসনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ২৫-২৬টি হতে পারে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এসব কেন্দ্রে পাঁচজন করে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
সূত্র: প্রথম আলো