অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে সৃষ্ট সংকট ততই ঘনিভূত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম ও কেন্দ্রীয় নেতাদের বাকবিতণ্ডা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার পাসপোর্ট বর্তমানে শেখ হাসিনার হাতে। যাদের প্রতি শেখ হাসিনার আস্থা কম, তাদের পাসপোর্ট চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়েই শেখ হাসিনা জব্দ করেছেন।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় একবছর ধরেই শেখ হাসিনার সঙ্গে কেন্দ্রীয় অনেক নেতার দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আর এ দ্বন্দ্বের মূল কারণ হলো-শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্ত। তিনি যখন যেটা ভাল মনে করেন সেটাই করার জন্য নেতাদের নির্দেশ দেন। বড় ধরণের জটিল কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের পরামর্শ নেন না। দুয়েকজন উপদেষ্টা ও তার ছেলে জয়ের পরামর্শের আলোকেই তিনি সবকিছু করছেন। এমনকি সরকারি কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও তিনি মন্ত্রিদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেন না।
একটি সূত্রে জানা গেছে, বিরোধী দলের ওপর যেসব দমন পীড়ন হচ্ছে সবই শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তেই হচ্ছে। শুধু প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই মূলত শেখ হাসিনা এসব করছেন। শেখ হাসিনার এসব সিদ্ধান্তের সঙ্গে দলের অনেক কেন্দ্রীয় নেতাই একমত নন। দলীয় বৈঠকে কয়েকজন নেতা শেখ হাসিনার অযৌক্তি সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করলেও বিভিন্ন কারণে তারা এগুলো নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছে না।
জানা গেছে, দলের মধ্যে যারাই শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছে তাদেরকেই তিনি কালো তালিকায় রেখেছেন। যেকোনো সময় তারা দেশ ছাড়তে পারেন এমন আশঙ্কা থেকে শেখ হাসিনা তাদের পাসপোর্ট জব্দ করেছেন। এখন এসব নিয়ে প্রতিদিনই গণভবনে দেনদরবার হচ্ছে।