জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি আওয়ামী লীগ। আজ গণভবনে দীর্ঘ সময় দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হলেও অচলাবস্থা নিরসন হয়নি বলেই মনে হচ্ছে।
বৈঠকের পর সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধানের বাইরে কিছুই করার অবকাশ নেই। তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রস্তাব মেনে নিতে আপত্তি নেই। তবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কালীন সরকার গঠনের দাবি মানা হবে না।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হবে না। তবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা থাকতে পারে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবেন। তিনি দেশবাসীর সাথে প্রতারণা করবেন না। সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। কেউ বেশি সুযোগ থাকবে না।
তিনি বলেন, বিদেশী পর্যবেক্ষকদের অবাধ পর্যবেক্ষণ থাকবে।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়েছেন। এটি আদালতের বিষয় বলে তিনি জানান।
এ ছাড়া সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের ৭টি দাবি আবারও জানিয়েছে।
বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফা সংলাপ বেলা দুইটায় শেষ হয়। দুই পক্ষের পৃথক অবস্থানে কোনো পক্ষই ঐকমত্যে আসতে পারেনি বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
বেলা সোয়া দুইটার দিকে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা গণভবন থেকে বের হন।
সুত্র: নয়াদিগন্ত ও প্রথম আলো