অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ক্ষমতার শেষ মুহূর্তে এসে সরকারের সব কিছুতেই যেন ওলট-পালট হতে বসেছে। সরকার বা প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হলো সচিবালয়। সরকারের সেই প্রাণেই এখন টর্ণেডো শুরু হয়ে গেছে। ক্ষমতাকে নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে রাখার জন্য প্রতি বছর একবার করে বেতন বাড়িয়ে যাদেরকে নিজেদের পক্ষে রাখার চেষ্টা করেছে, শেখ হাসিনার সেই সচিবরাই এখন তাকে ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সচিবদের মধ্য থেকে অনেকেই ভবিষ্যত অন্ধকার দেখে এখন থেকেই বিএনপির সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছেন। সচিবদের মধ্য থেকে যারা সরকারের পলিসি ম্যাকার হিসেবে পরিচিত তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এসব খবর ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দফতরে চলে গেছে। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে এসে প্রধানমন্ত্রী তাদের বিরদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ারও সাহস দেখাতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রীর দফতরও বিষয়গুলোকে গোপন রাখছেন। কারণ, এগুলো জানাজানি হয়ে গেলে প্রশাসনে স্থবিরতা নেমে আসবে। তার ফলে সরকারের টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এসবের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হলো মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের ঘটনা। তিনি হলেন প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। যিনি সরাসরি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো দেখাশোনা করেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি তিনিও তার পদ থেকে সরে যেতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
একটি সূত্রে জানা গেছে, শফিউল আলমের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থানে যাবে না সরকার। কারণ, সরকারের অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির জীবন্ত সাক্ষী তিনি। সরকারের ভেতরের অনেক কিছুই তার জানা। জানা গেছে, এসব ঘটনায় চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে সরকার।
এদিকে, শফিউল আলমের চিঠিসহ গুরুত্বপূর্ণ সচিবদের ছুটি নিয়ে বাইরে যাওয়ার বিষয় নিয়ে সচিবালয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, তারাতো সরকারের পলিসি মেকার হিসেবে পরিচিত। বিএনপির সঙ্গে গোপনে আঁতাত করাও সম্ভব না। তাই পিঠ বাঁচাতে আগেই দেশ ছাড়তে চাচ্ছেন।