অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সময়ই গর্ব করে সজিব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বলে বেড়ান যে তার ছেলে উচ্চশিক্ষিত। হার্ভার্ডে লেখাপড়া করেছেন। কম্পিউটার সাইন্সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তিনি তার কাছ থেকেই কম্পিউটার শিখেছেন। আর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছেলেরা হলেন মূর্খ। তারা পড়ালেখা জানে না। বাংলাও বুঝে না, ইংরেজিও বুঝে না। আর তথ্যপ্রযুক্তিতো বুঝেই না।
তবে, শেখ হাসিনা তার ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত দাবি করলেও কর্মকাণ্ডে সজিব ওয়াজেদ জয় নিজেকে উচ্চশিক্ষিত হিসেবে প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। কথিত উচ্চশিক্ষিত জয়ের প্রতিদিনের ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো এখন মানুষের কাছে হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে। জয় তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে প্রতিদিন এমন কিছু উদ্ভট তথ্য প্রকাশ করছেন যা মানুষের মধ্যে শুধু ক্ষোভেরই সৃষ্টি করছে না, জয়ের শিক্ষা নিয়েও মানুষের মনে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের জন্য অনেকে আবার তাকে এখন ‘তথ্যবাবা’ হিসেবেও আখ্যায়িত করছেন।
সর্বশেষ রোববার সজিব ওয়াজেদ জয় সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ও জামায়াত মীর কাসেশ আলীর ভাই মীর মাসুমকে নিয়ে যে গায়েবি তথ্য প্রকাশ করেছেন তা শুধু হাস্যকরই নয়, চরম বিভ্রান্তিকরও বটে।
জয় তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মীর কাসেম আলীর ভাই মীর মাসুম বিচারপতি এসকে সিনহাকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য। জামায়াতের এই টাকায় এসকে সিনহা সরকারের বিরুদ্ধে একটি বই লিখছেন। বিডিএস নামের একটি ভুয়া অনলাইন নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বইয়ের মূল লেখক হলেন ড. কামাল হোসেন, আলী রিয়াজ ও প্রথম আলো পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান।
একটি বিষয় সবারই জানা আছে যে, কোনো প্রকার সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই এসকে সিনহা জামায়াতের সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি সিনহা নিজেও একাধিকবার বলেছেন যে, মীর কাসেম আলীকে ফাসি দেয়ার মতো কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ রাষ্ট্রপক্ষ পেশ করতে পারেনি। তারপরও কোনো প্রকার আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে এসকে সিনহা মীর কাসেম আলীর আপিল ও রিভিউ আবেদন খারিজ করেছিলেন। সেই এসকে সিনহা এখন মীর কাসেম আলীর ভাইয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার নিয়েছেন! আর ভাইয়ের হত্যাকারীকে মীর মাসুম আলী টাকা দিয়েছেন! জয়ের এমন গাঁজাখোরি তথ্য কোনো সুস্থ মানুষতো দূরের কথা একজন পাগলও বিশ্বাস করবে কিনা সন্দেহ আছে।
তারপর জামায়াত নেতাদেরকে বিতর্কিত বিচারের মাধ্যমে ফাসিতে ঝুলানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে প্রথম আলো পত্রিকা। সেই প্রথম আলো নাকি এখন জামায়াতের টাকায় সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। জয় দেশের মানুষকে বোকা মনে করেছে। মনে করেছে সে যা বলবে মানুষ তাই বিশ্বাস করবে। কিন্তু তার এসব গায়েবি কথা বার্তা যে মানুষের হাসির খোরাক জোগাচ্ছে এটা তাকে কে বুঝাবে?