অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অভিযোগ প্রায় প্রতিদিনই করে থাকেন যে, ২০০১ সালে খালেদা জিয়া আমেরিকার সঙ্গে গোপনে গ্যাস দেয়ার চুক্তি করে ক্ষমতায় এসেছিল। আমেরিকা নাকি এ প্রস্তাব শেখ হাসিনাকেও দিয়েছিল। কিন্তু তিনি গোপনে দেশ বিক্রির চুক্তিতে রাজি হননি। এজন্য আমেরিকা তাকে ক্ষমতায় আনেনি।
অথচ সেই শেখ হাসিনা এখন ক্ষমতায় থাকতে বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে কক্সবাজারের মহেশখালীতে আমেরিকাকে নৌঘাটি করতে ৫ হাজার ৬০০ একর জামি বরাদ্দ দেয়ার গোপন চুক্তি করেছে। এই ভয়াবহ গোপন চুক্তির তথ্য অতিসম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। অপরদিকে, ভারতকে খুশী রাখতেও চট্টগ্রামে ১ হাজার একর জমি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার।
গত সপ্তাহে আমেরিকান কোম্পানি জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) সাথে একটি চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের। এই চুক্তির পর ফলাও করে প্রচার হয়েছে দেশে সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে এটি। এজন্য তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৬ শত একর জমি। কক্সবাজারের মহেশখালি ও পাশ্ববর্তী উপকূলীয় জমি তখন তাদের দখলে যাবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে জমি বরাদ্দ হয়েছে বলা হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি নেপথ্যে হচ্ছে আমেরিকার নৌ-বাহিনীর জন্য ঘাটিও তৈরি করা। যা ছিল আমেরিকার দীর্ঘ দিনের চাওয়া। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এই চুক্তির অর্থই হলো-পুনরায় ক্ষমতায় আসতে আমেরিকার আশির্বাদ পাওয়া।
আমেরিকার সঙ্গে এই চুক্তির পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে প্রতিবেশি দেশ ভারত। গত পরশু দিন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার গণভবনে গিয়ে হাসিনাকে ভারতের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। তখন শেখ হাসিনা ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানান যে, চট্রগ্রামে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ হাজার একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
এখন আমেরিকা-ভারত উভয় দেশ সরকারের প্রতি সন্তুষ্ট। আগামীতে ক্ষমতায় আসতে ভারত পক্ষে থাকলেও বাধা ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এখন যুক্তরাষ্ট্র্রকেও সরকার ম্যানেজ করতে পেরেছে। এখন আগামীতে ক্ষমতায় আসতে আওয়ামী লীগের সামনে আর কোনো বাধা রইল না।