অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের কনফিডেন্ট বেড়ে গেছে। তারা এখন আত্মবিশ্বাসী। নির্বাচন কেন্দ্রিক বিএনপির সঙ্গে আর সংলাপের প্রয়োজন নেই। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারাই বিজয়ী হবে।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদিনই দলের দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ এবং খুন-হত্যা ও ধর্ষণে জড়িত নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক করে আসছেন ওবায়দুল কাদের। কিন্তু, হঠাৎ করেই শুক্রবার তিনি বললেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের আর কোনো সংশয় নেই। বিজয়ী হওয়ার বিষয়ে তারা এখন আত্মবিশ্বাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজিজ আহমেদকে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পরই আগামী নির্বাচন নিয়ে নতুন করে হিসাব-নিকাশ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এত দিন ধরে আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিরোধীতা করে আসলেও আজিজ আহমেদের নিয়োগের পরই ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরাও নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে নয়।
ওবায়দুল কাদেরের এসব বক্তব্য নিয়ে এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন রাজনীতিক বিশ্লেষকরাও।
তারা বলছেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর প্রতি আওয়ামী লীগের কখনো বিশ্বাস ছিল না। আওয়ামী লীগ সব সময়ই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু, আজিজ আহমেদকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পরই আওয়ামী লীগ সেনাবাহিনীর পক্ষে কথা বলছে। তারাও এখন বিএনপির মতো নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আগামী নির্বাচন নিয়ে একটি রফাদফা করেই সরকার আজিজ আহমেদকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে যেমন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছিল। ঠিক তেমনি ২০১৯ সালেও বাহ্যিকভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আজিজ বাহিনী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে আগেই নির্ধারণ করা রাখবে তাদেরকে কয়টি ও কোন কোন আসন দেবে। নির্বাচন হবে শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ফলাফল কী হবে সেটা আগ থেকেই নির্ধারণ করে রাখবে সরকার।