মালয়েশিয়ান রাজনীতিক ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তিনি আবারও রাজনীতিতে ফিরতে পারবেন। এক সময়ের সম্ভাবনাময় এই নেতাকে সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
আজ বুধবার রাজকীয় ক্ষমার বিষয়ে আলোচনার পর তাকে মুক্ত ঘোষণা করে ক্ষমা প্রশ্নে গঠিত কমিটি।
মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং দি পারতুয়ান এগংয়ের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আনোয়ারের মুক্তি নিয়ে চলমান প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্ট রাজা।
বিরোধী জোটের নেতৃত্ব নেওয়ার সময় মাহাথির চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, জোট ক্ষমতায় এলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। তবে এর দুই বছরের মধ্যে আনোয়ার ইব্রাহিমের মুক্তি নিশ্চিত করে তার কাছে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন তিনি। শপথ নিয়ে মাহাথিরও বলেছিলেন, দ্রুতই আনোয়ারের মুক্তি নিশ্চিত করবেন তিনি।
গত ৯ মে বুধবারের নির্বাচনে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা বারিসন ন্যাসিওনাল সরকারকে হারিয়ে জয়লাভ করে চার দলের নতুন জোট। হাসপাতালের বেডে শুয়ে পাঠানো এক বিবৃতিতে আনোয়ার ইব্রাহিম তার পিপলস জাস্টিস পার্টি-পিকেআর সদস্যদের মাহাথিরের সরকারকে ‘শক্তিশালী ও স্থিতিশীল’ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
মাহাথির ক্ষমতাসীন জোটের নেতা আর আনোয়ার জোটের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জেতা দল পিকেআর’র নেতা। এই দুজন প্রথমে বন্ধু, তারপর শত্রু ও পরে জোটের মিত্র হয়েছেন। তাদের এমন পরিবর্তনশীল সম্পর্কই গত তিন দশক ধরে মালয়েশিয়ার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। এমনকি জোটের ভবিষ্যৎও এই দুজনের সম্পর্কের ওপরই নির্ভর করছে।
আনোয়ার ইব্রাহিম ও মাহাথির মোহাম্মদ একসময় ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। কিন্তু মতপার্থক্যের জেরে ১৯৯৮ সালে উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমকে সরিয়ে দেন মাহাথির। এরপর কথিত সমকামিতার অভিযোগে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে রাজনৈতিক পালাবদলের ধারাবাহিকতায় সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে হটাতে তারা আবার মিত্রে পরিণত হন।
সূত্র: বিবিসি।