দেশের যেকোনও নাগরিক একজন ক্রিমিনালকে আটক করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘আটকের পর ক্রিমিনালকে পুলিশে সোপর্দ করাই মূল কাজ। সেনাবাহিনী সেই কাজটিই করেছে। টেকনাফে মুক্তিপণের টাকাসহ ডিবির সাত সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনী ঠিক কাজই করেছে।’ বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধ করে অপরাধী পার পেয়ে গেলে বা অপরাধীর বিচার করা না হলে বাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হতো।’ তিনি বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, তা প্রমাণিত হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন পক্ষপাত দুষ্ট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ, অভিযোগ উঠলে তা পুনরায় তদন্ত করার জন্য একাধিক কর্তাব্যক্তি রয়েছেন। সব শেষে প্রয়োজন হলে এমপিরা রয়েছেন। সংসদীয় কমিটিও যেকোনও অভিযোগ তদন্ত করার এখতিয়ার রাখে।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, দেখুন, সঠিক বিচার হয় কিনা।’
উল্লেখ্য, ২৫ অক্টোবর ভোর রাতে টেকনাফের ব্যবসায়ী আব্দুল গফুরকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা আদায় করে। এরপর একটি মাইক্রোবাসে কক্সবাজারে যাওয়ার পথে চেকপোস্টে তল্লাশির সময় মুক্তিপণের টাকাসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাত সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনী। পরদিন বেলা ১১টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেনের আদালত সাত ডিবি সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ৭ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ডিবি পুলিশের সদস্যরা হলেন, এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই আবুল কালাম আজাদ, এসআই ফিরোজ, এএসআই মোস্তফা, এএসআই আলাউদ্দিন, সিপাহী আলামিন ও সিপাহী মোস্তফা আজম।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
Discussion about this post