অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশন শেষে ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দেশে ফেরার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু, ২৫ অক্টোবর রাতে হঠাৎ করে পেটে ব্যথা হওয়ায় অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। এজন্য নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তে ২ দিন পিছিয়ে ৫ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা জানানো হয়।
কিন্তু, হঠাৎ করে আবার ২৯ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হলো ৫ অক্টোবরও দেশে ফিরবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরিবর্তে তিনি দেশে ফিরবেন ৭ অক্টোবর। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ্য তাই দেশে ফেরার তারিখ পরিবর্তন হওয়াকে স্বাভাবিকই মনে করছেন সবাই।
তবে, প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার তারিখ পরিবর্তনের সঙ্গে নোবেলের একটি যোগসূত্র মিলে যাচ্ছে। শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে আগামী ৬ অক্টোবর। আর প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার দিন ঠিক করেছেন ৭ অক্টোবর। এনিয়ে ইতিমধ্যে কিছু গুঞ্জনও শুরু হয়েছে। যদিও সরকার ও আওয়ামী লীগ সূত্র থেকে এখনও কিছু বলা হয়নি। অসমর্থিত সূত্র থেকেই এসব কথা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্চ প্রশংসা করে বিদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক নোবেলের জন্য তার নাম প্রস্তাব করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরাও আকারে ইঙ্গিতে বিষয়টিকে মানুষের নজরে আনার চেষ্টা করছেন। গত শনিবার আরব-আমিরাতের খালিস টাইমস পত্রিকায় শেখ হাসিনার উচ্চ প্রশংসা করে তাকে প্রাচ্যের তারকা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এবং তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য বলেও পত্রিকাটি দাবি করেছে। আর সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নোবেল না পেয়েও নোবেল বিজয়ী সুচির চেয়ে এগিয়ে আছেন।
অপরদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও আজ বলেছেন, হাজারো রোহিঙ্গার কান্না ও নির্যাতনকে সম্বল করে প্রধানমন্ত্রী নোবেলের জন্য পাগল হয়ে গেছেন।
এদিকে, ২০১৭ সালে বিভিন্ন বিষয়ে নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা শুরু করেছে নোবেল কমিটি। আজ সোমবার চিকিৎসায় নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রসায়নে নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে। আর আগামী ৬ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তদের নাম।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র থেকে অ্যানালাইসিস বিডি জানতে পেরেছে, প্রধানমন্ত্রী এবার শান্তিতে নোবেল পেতেও পারেন। তবে কনফার্ম না। এজন্যই ৫ অক্টোবরের পরিবর্তে ৭ অক্টোবর দেশে ফেরার দিন ধার্য করেছেন। ৬ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরমধ্যে শেখ হাসিনা যদি নোবেল পেয়েই যান তাহলে ভিন্ন একটি ইমেজ নিয়ে দেশে ফিরবেন। কারণ, রোহিঙ্গা ইস্যুতে কার্যত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্যণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এবার জাতিংসংঘ অধিবেশনেও প্রধানমন্ত্রীর অর্জন শূন্য। তাই, নোবেল নিয়ে আসতে পারলেও কূল রক্ষা হবে বলেও মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
Discussion about this post