মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান সহিংসতায় সবসময় মদদ দিয়ে এসেছে চীন। এমনকি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের উপর অ্যাকশনের বিরুদ্ধেও তারা ভেটো দিয়েছে। তবে এ ব্যপারটি নিয়ে সারাবিশ্ব সরব থাকলেও বরাবরই তারা নীরব থেকেছে। মিয়ানমারের জাতিগত নিধনে মদদ দিয়ে ভারতের মতই মানবাতাবাদি সাজতে এবার রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে চীনও।
চীনের পাঠানো ত্রাণবাহী উড়োজাহাজ আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
রোহিঙ্গাদের জন্য চীনের পাঠানো ৫৭ টন ত্রাণ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান গ্রহণ করেন। এ সময় ঢাকার চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সহিংসতার কারণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য এই প্রথম চীন ত্রাণ পাঠাল। কাল বৃহস্পতিবার সকালে চীনের আরেকটি ত্রাণবাহী উড়োজাহাজ চট্টগ্রামে অবতরণ করবে। একই দিন বিকেলে যুক্তরাজ্য থেকে ত্রাণবাহী আরেকটি উড়োজাহাজ চট্টগ্রামে অবতরণ করার কথা।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চীন থেকে আসা ত্রাণবাহী উড়োজাহাজে ২ হাজার ২০০ তাঁবু রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাঁবুগুলো কক্সবাজারে নিয়ে যাবে। সেখানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সেনাবাহিনী এই ত্রাণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের কাজে ব্যবহার করবে।
মো. হাবিবুর রহমান বলেন, চীন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে আরও একটি এবং বিকেলে যুক্তরাজ্য থেকে একটি ত্রাণবাহী উড়োজাহাজ চট্টগ্রামে আসবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এর আগে ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মরক্কো, সৌদি আরব ও জাপান রেড ক্রিসেন্ট রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছিল। এর মধ্যে ভারত ১০৭ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে। সৌদি আরব পাঠিয়েছে ৯৪ টন ত্রাণ।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাক্যাম্পে আগুন দেওয়ার ঘটনায় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ শুরু হয়। জীবন বাঁচাতে পাহাড় ও নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। এখন পর্যন্ত সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। কক্সবাজারের টেকনাফের ক্যাম্পে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সূত্র: প্রথম আলো (সম্পাদিত)
Discussion about this post