নিউ এজ এর একজন সিনিয়র সাংবাদিককে ভিসা দেয়নি ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একটি নিবন্ধ উপস্থাপনের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যক্ষ, অভিজিৎ গুপ্ত, নিউ এজ এর উপ সম্পাদক আবু জর মোহাম্মদ আক্কাসকে ‘লিঙ্গুয়িস্টিক্স এন্ড ও টাইপোগ্রাফি হবিয়িস্ট’র উপর আয়োজিত সম্মেলনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানান।
ব্রিটিশ লাইব্রেরির প্রধান ডিজিটাইজেশন প্রকল্প ‘দুই শতকের ভারতীয় প্রিন্ট’ এর অংশ হিসাবে ১৪ ও ১৫ জুলাই এটি অনুষ্ঠিত হবার কথা।
প্রকল্পটির কো-ইনভেস্টিগেটর অভিজিৎ গুপ্তের পাঠানো আমন্ত্রণ পত্র অনুযায়ী প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সম্মেলনটিতে অংশগ্রহণের সাথে জড়িত সব খরচ বহন করার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে।
বৃটিশ লাইব্রেরির প্রকল্প কিউরেটর আনুষ্ঠানিকভাবে জনাব আক্কাসকে সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে ভ্রমণ করার জন্য ভিসা দেওয়া অনুরোধ জানান। বিশেষজ্ঞ শিক্ষক, গবেষক এবং পেশাদারদের অংশগ্রহণের জন্য এ সম্মেলনটি নির্ধারিত ছিল।
আক্কাস ২ জুলাই গুলশানে ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পাঠানো বিমানের টিকিট এর কপিসহ ভিসার আবেদন করেন। কেন্দ্র থেকে ৬ জুলাই তার পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার জন্য সময় নির্ধারিত ছিল।
যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা ৯ জুলাই আক্কাসকে জানায় যে, তার পাসপোর্ট হাই কমিশনে রয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব রাজেশ উয়েক ১০ জুলাই নিউ এজকে বলেন যে মিশন কর্মীদের অনেকে ছুটিতে ছিলেন বলে অনেক পাসপোর্ট দেয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাই কমিশন আক্কাসের পাসপোর্ট ফেরত দেয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভিসা আবেদন কেন্দ্রের আরেক কর্মকর্তা বলেন, পাসপোর্টটি প্রদানের জন্য প্রস্তুত হয়নি।
ভারতীয় হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ নাগরিকদের জন্য ভিসার ব্যবস্থা সহজতর করা হয়েছে বলে দাবি করে। ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা নিজে ২৩ শে মে জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে বলেন যে, হাইকমিশন বাংলাদেশের জনগণের কাছে সহজভাবে ভিসা প্রদান উদ্যোগের অধীনে ২০১৬ সালে ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ভিসা ইস্যু করেছে।
নিউএজ পত্রিকায় এই খবরটির লিংক: New Age deputy editor not given visa for Kolkata conference
সূত্র: New Age (ভাষান্তর: সাউথ এশিয়ান মনিটর)
Discussion about this post