রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহর আটকে দেয়ার পরিকল্পনা হয় ঘটনার একদিন আগে। চট্টগ্রাম শহরে বসেই হয় এ পরিকল্পনা। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম ও উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য উপরের নির্দেশ পান। উপজেলার রানীরহাটে অবস্থান নিয়ে ফখরুলের গাড়িবহর প্রতিরোধ করার কথা ছিল তাদের। স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদের ইন্ধনেই এসব ঘটেছে বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি, যুবলীগ-ছাত্রলীগ এ হামলা চালায়। ঘটনার পর সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি।
এদিকে কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ভিডিও ফুটেজ ও ফেসবুকের স্থিরচিত্র দেখে মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। রোববার চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি যাওয়ার পথে রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মির্জা ফখরুলসহ ছয় নেতা আহত হন। হামলাকারীদের সন্ধানে গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছেন। স্থানীয় লোকজন ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। জড়িতদের ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায়ে তারা অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে। বিএনপির মহাসচিবের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ দিলে মামলা নিতে পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে নির্দেশনা রয়েছে। তবে কেউ অভিযোগ না দিলে স্বপ্রণোদিত হয়ে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ নেই বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া ঘটনার পর ঢাকা থেকে সরকারি দলের কেন্দ্রীয় এক নেতা স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাকে টেলিফোনে ভর্ৎসনা করেন। তার এলাকায় কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল তা জানতে চান। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। ওই নেতা দলের হাইকমান্ডের কাছে অধিক গুরুত্ব পাওয়ার জন্যই এ ঘটনা ঘটিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন বলে দলের নেতাকর্মীরা মন্তব্য করেন।
বিএনপির এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি বেকুব নই যে আমার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় এমন একটি ঘটনা ঘটতে দেব। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কেন মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা করে তাদের হাতে ইস্যু তুলে দেবে। আমি যতদূর জানি, পথচারীকে ধাক্কা দেয়ার কারণে গাড়িতে হামলা হয়েছে। তাছাড়া যারা হামলা বা ভাংচুর করেছে তারা জানত না যে ওই গাড়িতে মির্জা ফখরুল ছিলেন।’ এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো যোগসূত্র নেই। তবে মির্জা ফখরুলের গাড়িবহর আটকে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম। তিনি বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল তারা যদি পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেয়ার জন্য রাঙ্গামাটি যেতে চান, তবে হাইওয়ে ব্যবহার করে যেতে পারবেন। কিন্তু রাঙ্গুনিয়া নামতে দেয়া হবে না। বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরও আমরা বিষয়টি বলেছি। রাঙ্গুনিয়ায় যাতে কেউ না নামে, বিশৃঙ্খলা না করে। এ নিয়ে বিএনপি ও প্রশাসনের মধ্যেও সমঝোতা হয়েছিল। এরপরও রোববার সকাল ৭টা থেকে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি রুটের রাঙ্গুনিয়া, রানীরহাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সরকারি দলের শত শত নারীসহ নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসীরা মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা করে। তিনি বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাসেল রাসু, ছাত্রলীগ কর্মী পাভেল বড়–য়া, সারেক, যুবলীগ ক্যাডার সরওয়ার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম ও ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বেই হামলা হয়েছে। হামলার পর তারা মিছিল করেছে। মিছিল থেকে জয়বাংলা স্লোগান দেয়া হয়। এসব ঘটনার ভিডিও বিএনপির কাছে আছে। হামলাকারীদের প্রায় সবাই উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়বের অনুসারী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম বলেন, ‘যেখানে হামলা হয়েছে, সেই ইছাখালী এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা রাসেল রাসু ও সরওয়ারসহ অনেকের বাড়ি। উৎসুক লোকজনের সঙ্গে হয়তো তারাও ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাই বলে তারা হামলায় জড়িত, সেটা বলা যাবে না।’
দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, মির্জা ফখরুলের গাড়িবহর যদি রোববার রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট দিয়ে যেত তাহলে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটত। এখানে গাড়িবহর আটকানো ও ফিরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল বখতেয়ার-এরশাদকে। তারা দলবল নিয়ে প্রস্তুত ছিল। এ ধরনের ইঙ্গিত পেয়ে বিএনপির গাড়িবহর রুট পরিবর্তন করে। কিন্তু রুট পরিবর্তন করেও হামলা থেকে রেহাই পায়নি। মির্জা ফখরুলের গাড়িবহর অক্সিজেন এলাকা থেকে রুট পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম খবর পান। এরপর তিনি উত্তর জেলা ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগ-যুবলীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে বিষয়টি জানান। তাদের নির্দেশে রানীরহাটে ইছাখালী বাজারে মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় বলে সূত্রটি নিশ্চিত করে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রাম ছাড়ার আগে ঘটনার ব্যাপারে মামলা করার জন্য বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনিও হামলার ঘটনায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। মাহবুবুর রহমান শামীম জানান, দলের মহাসচিবের ওপর হামলা করে গাড়ি ভাংচুর ও আহত করেছেন- মামলা করব না সেটা তো হয় না। রাঙ্গুনিয়ার এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তার নির্দেশ ছাড়া এ ঘটনা ঘটেছে, তা বিশ্বাস করার কোনো যুক্তি নেই। যারা হামলায় নেতৃত্বে দিয়েছেন তাদের সবাই এমপির অনুসারী। তাদের চিহ্নিত করা কঠিন কিছু নয়। ভিডিও ফুটেজও তাদের হাতে আছে। আমাদের আইনজীবীরা এ বিষয়ে কাজ করছেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন এবং তাদের বায়োডাটা সংগ্রহ করছেন। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন মামলাটি আদালতে নাকি রাঙ্গুনিয়া থানায় করা হবে। রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ মো. আহছানুল কাদের ভূঁইয়া মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেননি জানিয়ে বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়া হলে মামলা নেয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফখরুলের গাড়িবহরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে বিএনপি নেতা হুম্মাম কাদের চৌধুরী থাকার কথা ছিল। এ কারণে ফখরুলকে রাঙ্গুনিয়ায় নামতে না দেয়ার অলিখিত সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে রাউজান-রাঙ্গুনিয়ার ওপর দিয়ে তাদের কোথাও যেতে না দেয়ার বিষয়টি নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তে অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু ঘটনার দিন বিক্ষোভের খবর পেয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় মির্জা ফখরুলের গাড়িবহর নগরীর অক্সিজেন এলাকা থেকে রুট পরিবর্তন করে কাপ্তাই সড়ক হয়ে রাঙ্গামাটির উদ্দেশে যাত্রা করে। তাৎক্ষণিকভাবে রুট পরিবর্তনের খবর পৌঁছে যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাছে। এরপর তারা ওই রুটেই ফখরুলের গাড়িবহর আটকে দেয়।
অসমর্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার সময় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আরজু সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচ উপজেলার ইছাখালী ও সদর এলাকায় অবস্থান করছিলেন। বিএনপির পক্ষ থেকেও ঘটনার জন্য তাদের দায়ী করা হয়েছে। রোববার ঘটনার পর বিএনপি প্রেস ব্রিফিংয়ে হামলার ইন্ধনদাতা হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদের নাম বলা হয়। হামলায় নেতৃত্বদানকারী সরওয়ার উদ্দিন ঘটনার পর বিকালে রাঙ্গুনিয়া পৌর এলাকায় ড. হাছান মাহমুদ এমপির সঙ্গে স্বেচ্ছাশ্রমে মাটিকাটার একটি কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় ছিলেন বলে দলীয় ও নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তৈয়ব যুগান্তরকে বলেন, মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলার কোনো পরিকল্পনা ছিল বা বৈঠক হয়েছে এমন অভিযোগ সত্য নয়। কেউ এ হামলার জন্য কাউকে কোনো নির্দেশও দেননি। তিনি বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই রাঙ্গুনিয়ায় মির্জা ফখরুলের গাড়িবহর হামলার শিকার হয়েছে। তারা এ ঘটনা দুঃখজনক ও অনাকাক্সিক্ষত বলে মন্তব্য করেন। তবে রাঙ্গুনিয়ায় যাতে বিএনপি বা যুদ্ধাপরাধীরা কোনো ধরনের ত্রাণ তৎপরতার নামে লাশের রাজনীতি করতে না পারে, সে ব্যাপারে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা সতর্ক ছিলেন। রাউজানেও শত শত নারী-পুরুষ মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরকে কালো পতাকা দেখাতে ঘটনার দিন অবস্থান নিয়েছিলেন বলে তিনি জানান।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম বলেন, পাহাড় ধসে রাঙ্গুনিয়ায় ২১-২২ জন নিহত হওয়ার পর লাশ উদ্ধার থেকে শুরু করে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে দলীয়ভাবে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর বিএনপি নেতারা ত্রাণ তৎপরতার নামে লাশ নিয়ে রাজনীতি করতে আসবেন, এটা সাধারণ নেতাকর্মীরা মানতে পারেননি। এজন্য রানীরহাটে মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরের প্রতি কালো পতাকা ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত ছিল। রাঙ্গামাটি যাওয়ার কথা বললেও মির্জা ফখরুলরা রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে কর্মসূচি রাখেন। এ কারণে আমরা অবস্থান নিয়েছিলাম রানীরহাটে। প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা খবর পাই, মির্জা ফখরুলের গাড়িবহর কুয়াইশ হয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই রোড হয়ে যাত্রা করেছে। ইছাখালী বাজার এলাকায় তাদের গাড়ি হামলার শিকার হয়েছে।’ শামসুল আলম আরও বলেন, ‘আমরা শুনেছি দুই পথচারীকে ধাক্কা দেয় মির্জা ফখরুলের গাড়িবহর। এ কারণে বিক্ষুব্ধ লোকজন হামলা চালিয়েছে। আবার এও শুনেছি, যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে সেটা বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রভাবাধীন এলাকা। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তার গ্রুপই এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। অথচ এখন বিএনপি এ ঘটনাকে ইস্যু বানাতে চাইছে। আওয়ামী লীগকে দায়ী করার চেষ্টা করছে।’
আওয়ামী লীগ প্রচার সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ ঘটনা প্রসঙ্গে সোমবার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, রাঙ্গুনিয়াতে মির্জা ফখরুলের কোনো কর্মসূচি ছিল না । তাই রাঙ্গুনিয়ায় তাদের ওপর হামলা বা গাড়িবহর ফিরিয়ে দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়াতে বিএনপির তিন গ্রুপ। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের হতে পারে। তাছাড়া দুই পথচারীকে ধাক্কা দেয়ার কারণেই উত্তেজিত জনতা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা জেনেছেন। এরপরও এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। তিনি বলেন, আমি নিজেই পুলিশ প্রশাসনকে বলেছিলাম যাতে বিএনপির গাড়িবহরকে নিরাপদে রাঙ্গামাটির পথে এগিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তারা হঠাৎ রুট পরিবর্তন করায় অনাকাক্সিক্ষত এ ঘটনা ঘটে গেছে। হামলায় ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, যুবলীগের সরওয়ারসহ বেশ কয়েকজন জড়িত ছিল এবং তাদের ভিডিও ফুটেজ আছে এমন দাবি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, যাদের নাম বলা হচ্ছে তাদের বাড়ি ইছাখালী এলাকায়। তাই বলে তারা জড়িত এটা বলা যাবে না।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post