সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান ফচ বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে অন্তর্ভূক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। এদেশের শক্তিশালী তরুণ জনগোষ্ঠি রয়েছে, উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে রয়েছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। জনগণও রাজনৈতিকভাবে সচেতন। তাই ভবিষ্যতে কোনো কর্তৃত্ববাদী শাসন হিতে বিপরীত হতে পারে।
তিনি বলেন, বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সুইজারল্যান্ড আগামী নির্বাচনটি অন্তর্ভূক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু করার জন্য বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, যে নির্বাচনে জনগনের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে।
ঢাকায় দায়িত্ব পালনের শেষ প্রান্তে এসে ইউএনবিকে দেয়া সাক্ষাতকারে রাষ্ট্রদূত ফচ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রত্যাশাকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার দেশকে এগিয়ে নিতে চায়। আর উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য এক সাথে কাজ করার বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। উন্নয়ন সহায়তা এখনো সুইজারল্যান্ড-বাংলাদেশ সম্পর্কের শক্তিশালী ভিত্তি হয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং বাংলাদেশ তা ভালভাবেই দমন করছে। তবে সরকারকে সহিংস চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ মোকাবেলা করতে হবে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বা দরিদ্রতা।
ফচ বলেন, সন্ত্রাস দমনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের আশ্রয় নেয়া উচিত না। জনগণের মানবাধিকারের প্রতি সরকারকে শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। অন্যথায় ফলাফল নেতিবাচক হতে পারে।
গুলশানে হোলে আর্টিজানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করে সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, এখন আমি ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অনেক নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি। তবে শুধু বিদেশী নয়, বাংলাদেশের সব মানুষের নিরাপত্তা বিধান করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: নয়াদিগন্ত
Discussion about this post