জসিম উদ্দিন
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের কার্যক্রম সবার নজর কাড়ছে। তারা ধর্ষণ মামলার আসামির বাবার ব্যবসায়প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালাচ্ছে। জোরদার অভিযান চলছে সেই হোটেলটিতেও চালু যেখানে দুই ছাত্রীর ওপর এমন জঘন্য নির্যাতন চালানো হয়েছে। হোটেলটি ৯ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। যাত্রার শুরুতে যেভাবে হই চই ফেলে দিয়েছে, তাতে এর বিশাল বিজ্ঞাপন হয়েছে। বিজ্ঞাপন সাধারণ পণ্যের প্রসার ও সেবা নিতে আকৃষ্ট করার জন্য করা হয়। বিজ্ঞাপনের পর সাধারণত পণ্য ও সেবার কাটতি বাড়ে। রেইনট্রি হোটেলের যে বিজ্ঞাপন হয়েছে তাতে এর ক্ষেত্রে কী ঘটবে বলা যায় না। হিসাব মতে এর প্রতি ঘৃণার উদ্রেক হওয়ার কথা। ধর্ষণের মতো ঘৃণিত অপরাধ দিয়ে শুরু হওয়ার কারণে মানুষ এটিকে বর্জন করার কথা। তবে মানুষের রুচিবোধের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। ভালো মন্দ শনাক্ত করার ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন। তাই সে ধরনের কিছু ঘটবে কী না বলা যায় না। জাতীয় মূল্যবোধের বড় ধরনের অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। অনেক কিছু এখন অন্যায় আর ঘৃণার তালিকায় নেই।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর হোটেল রেইনট্রিতে অভিযান চালানোর আগে ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সেখানে অভিযান চালায়। তারা অবৈধ কিছু সেখানে পায়নি। মোটামুটি একটি মাদকমুক্ত বিশুদ্ধ হোটেল হিসেবে সার্টিফিকেট দিয়ে তারা সেখান থেকে বিদায় হয়। যেমন স্থানীয় থানা পুলিশ ধর্ষকদের পূতপবিত্র জেনে অভিযোগ আমলে নিতে চাচ্ছিল না। শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে সেখানে অবৈধ মাধকদ্রব্যের সন্ধান পেয়েছে। তারা একটি কক্ষে ১০ বোতল মদ পান। এখন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানটি কেমন ছিল সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সন্দেহের সৃষ্টি হওয়ার অবকাশ তৈরি হয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের অভিযান নিয়েও। তারা কি সেখানে মাদক পাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন? তাহলে কি মাদক নিয়ে কাজ করা সরকারি অধিদফতরের কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়েছিল লেবেল লাগানো মদের বোতল?
মাদক বাংলাদেশে অনেকটাই নিষিদ্ধ ইস্যু। কিন্তু খুব আকর্ষণীয়! নিষিদ্ধ হলেই যে এর ব্যবহার চলবে না তা নয়, বরং নিষিদ্ধ করে দিলেই সেটা বেশি জনপ্রিয়তা পায়। হয়তো খোলাবাজারে এর বেচাবিক্রির অনুমতি থাকলে এতটা কাটতি হতো না। এখন কাটতি ও দাম উভয়টাই বেশি। এতে উৎপাদক ও ব্যবসায়ী উভয়ের বেশি লাভ। মাঝখানে বখরাও উঠে অনেকের জন্য। মাদক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিতরা যে সঠিক কাজটি করতে পারেনি সেটা শুল্ক গোয়েন্দাদের পরবর্তী কার্যক্রম থেকে অনুমান করা যায়। কারণ, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর জোর দিয়ে জানিয়েছে, রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনার সময় মদের ব্যবহার হয়েছিল। তারা এ ব্যাপারে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে। অধিদফতরের সহকারী পরিচালক দিপা রানী হালদারের পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ওই আবাসিক হোটেলে কোনো বৈধ বার লাইসেন্স নেই। এই আটকের ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয় যে ধর্ষণের ঘটনার সময় মদের ব্যবহার হয়েছিল। এই তথ্যটি ধর্ষণের মামলার তদন্তকারী সংস্থাকে অবহিত করা হবে।’ ধর্ষণের সময় মাদকের ব্যবহার নিয়ে তারা নিশ্চিত। এ ব্যাপারে তারা পুলিশের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে।
হোটেল ব্যবসায়ের অন্ধকার দিকটিও বোঝা গেল ধর্ষণের এই ঘটনায়। শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযানে বেরিয়ে এসেছে রেইনট্রি ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেল, জানুয়ারি মাসে হোটেলটির ভ্যাট নিবন্ধন করা হয়। সেই থেকে হোটেলটি ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা ভ্যাট আদায় করে। তার মধ্যে মাত্র ১০ হাজার টাকা তারা সরকারি কোষাগারে দিয়েছে। অন্য দিকে তাদের হোটেলটিতে মদ বেচাকেনার কোনো অনুমতি নেই। তারা অবৈধভাবে মদ বেচাকেনা করছে। মদ কেনাবেচার জন্য শুল্ক দিতে হয়, সেটা তারা দেয় না। হোটেলটির মালিক সরকারদলীয় এমপি এ কারণেই কি সেখানে অবৈধ কর্মকাণ্ড বৈধ হওয়ার সুযোগ পেয়ে আসছিল।
জুয়েলারি ব্যবসা নিয়েও আকার-ইঙ্গিতে অনেক কিছু জানা যাচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের অভিযানে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ দাঁড়াচ্ছে। মহাপরিচালক জানাচ্ছেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল আপন জুয়েলার্স যেসব সোনা ও ডায়মন্ড বিক্রি করছে, তা সংগ্রহের স্বচ্ছ ব্যবস্থা নেই। তিনি এই সময় জানান ‘গত পাঁচ বছরে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সোনা বা ডায়মন্ড আমদানি করছে, তার নজির নেই। এ ক্ষেত্রে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া প্রতীয়মান হচ্ছে। ’ বাজারে সোনা ও হীরার যে রমরমা ব্যবসা তাহলে সেটা কিভাবে সম্ভব হচ্ছে। এই প্রশ্ন এখন মানুষের মনে দাগ কাটার কথা। সোনা ও হীরার অলঙ্কার নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানকে বাহারি বিজ্ঞাপন দিতে দেখা যাচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দারা সন্দেহবশত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন এমন দেখা যাচ্ছে না।
আপন জুয়েলার্সের ৫টি বিক্রয় কেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়েছে। এগুলো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সেখানে সাধারণ বেচাকেনা হয়। শুল্ক বিভাগের অভিযানের পর জানা যাচ্ছে, বিক্রয়কেন্দ্রে মণকে মণ স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে। এমন কি নির্ধারিত পরিমাণের বেশি হীরাও পাওয়া যাচ্ছে। এসবের মূল্য শত কোটি টাকা। অভিযানে হীরার যেসব অলঙ্কার পাওয়া গেছে, তার বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ পূর্ণাঙ্গভাবে তা দাখিল করতে পারেনি বলে শুল্ক বিভাগ জানাচ্ছে। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের বক্তব্য হচ্ছে আমরা ৪০ বছর ধরে ব্যবসায় করছি। এই অবস্থায় শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ আমাদের কাছে যে যে কাগজপত্র চেয়েছে সবই দেয়া হয়েছে। কাস্টমসকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। কিন্তু জুয়েলার্স সমিতির পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে তার বিপরীত চিত্র স্পষ্ট হলো।
আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখা বন্ধের অভিযোগ এনে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। সমিতির সভাপতি গঙ্গাচরণ মালাকার ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, রোববার কোনো নোটিশ ছাড়া আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুম শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযানে দিলদার যে বিপর্যস্ত হয়েছেন জুয়েলার্স সমিতির বিবৃতিতে সেটা স্পষ্ট। আপন জুয়েলার্সে অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে জুয়েলার্স সমিতির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয় আপন জুয়েলার্সের সাথে পাঁচ হাজার পরিবার জড়িত। মানবিক দিক বিবেচনা করে জুয়েলার্সের শোরুম খুলে দেয়া হোক। স্বর্ণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা যুক্তি তুলে ধরেন একটি স্বর্ণাকারের দোকানে সাধারণ মানুষের স্বর্ণ জমা থাকে। সেই ক্ষেত্রে একটি স্বর্ণের দোকানে স্বর্ণের মজুদ থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু তার সীমা কত মণ পর্যন্ত হবে এটি কারো কাছে স্পষ্ট নয়।
সমাজে মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বাস করে। একজনের বিপদে অন্যরা এগিয়ে আসবে। এতে নিন্দা জানানোর কিছু নেই। কিন্তু অপরাধ করলে তা আড়াল করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে উল্টোটি দেখা যায়। একজন মানুষ যখন অন্যায় অবৈধ ও অপরাধের দিকে অগ্রসর হয়, তখন তাকে শোধরানোর দায়িত্ব সমাজের অন্য সদস্যদের। তারা তো অনেক ক্ষেত্রে করেন না। তবে এখন দেশে পরিস্থিতিও এমন নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অপরাধী বেড়ে ওঠার সময় এতটাই বেপরোয়া থাকেন যে, তখন কেউ তার সামনে এসে শোধরানোর সাহস দেখান না। কারণ, এমন বেপরোয়া উন্নতির পেছনে ক্ষমতার আনুকূল্য থাকে। তারা সাধারণত সব কিছুকে শক্তি দিয়ে মোকাবেলা করে। এদের অবস্থা অনেক সময় আবার খুব করুণ হয়। যেমন আপন জুয়েলার্সের ওপর ধর্ষণের একটি ঘটনার সূত্র ধরে যা নেমে এলো। তখন তাদের সাথে কেউ সম্পর্ক দেখাতেও আসেন না। একজন বেপরোয়া ব্যক্তির সব কিছুকে তখন দোষ ধরা হয়। আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে আজ যেভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অভিযান চালাচ্ছে সেই অভিযান সময় মতো হলে, ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজটি হওয়ার সুযোগ থাকত না।
আপন জুয়েলার্সের মালিকের যে সন্তানটির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তার যে জীবনাচার তা স্বাভাবিক নয়। তিনি কিভাবে এত গাড়ি হাঁকান, এত দেহরক্ষী পালেন? এমন সন্তান আজ শুধু আপন জুয়েলার্সের দিলদার সাহেবের নয়; শত সহস্র মানুষের রয়েছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র সক্রিয় হতে পারলে আড়ালে আবডালে আরো যে রোমহর্ষক শত অপরাধ ঘটে চলেছে তার অপনোদন হবে। আপন জুয়েলার্সের মালিকের পুত্রের দুষ্কর্মের সূত্র ধরে পিতার কুষ্টিবিচার শুরু হয়েছে। বিষয়টি এভাবে না এসে যদি অপরাধের মূলে হাত দেয়া যেত, কতই না ভালো হতো! শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম থেকে প্রমাণ হচ্ছে, রোগী মারা যাওয়ার পর ডাক্তার আসিল। প্রত্যেকটি বিভাগ সময় মতো কার্যকর থাকলে দেশে অসংখ্য অপরাধ অপনোদন হতো। আজ এমনটাই মনে হচ্ছে যে আমরা অপরাধীকে পাকড়াও করছি ফাঁদে পড়ার পর। আর কোনো অপরাধী ফাঁদে না পড়লে তাকে পাকড়াও করার কোনো প্রয়োজন নেই।
রাষ্ট্রের আরো অসংখ্য বিভাগ রয়েছে যারা প্রিএমটিভ হতে পারে। অর্থাৎ রোগী মরার আগে তার চিকিৎসা করতে পারে। কিংবা রোগ সৃষ্টি হওয়ার আগেই তার জন্য প্রতিষেধক ব্যবস্থা নিতে পারে। অন্যায়কারীরা নিয়ম অনুযায়ী বিচারের মুখোমুখি হলে কেউ আর চোরাপথ খুঁজবে না। আজকে প্রথমেই মানুষ অন্যায়কে বিকল্প পথ হিসেবে গ্রহণ করছে। কারণ বৈধভাবে বাঁচার পথগুলো অনেকটাই সঙ্কুচিত হয়েছে। অবৈধ কর্মাকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর হলে সমাজদেহ সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার জোর পাবে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান যে ঠিকভাবে কাজ করছে না তার আরেকটি বড় প্রমাণ দানবীয় অর্থপাচারের ঘটনা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি জানিয়েছে, দরিদ্র এ দেশটি থেকে বিগত কয়েক বছরে ৭৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। বাংলাদেশী অর্থে তা ছয় লাখ ছয় হাজার কোটি টাকা। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী এটি দিয়ে বাংলাদেশের দুই বছরের বাজেট হয়ে যায়। বাংলাদেশের বাজেট লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বেশি দিন নয়। সেই হিসাবে ১০ বছর আগের হিসাবে এ টাকায় অর্ধযুগের বেশি সময়ের বাজেট হয়ে যেত।
অকল্পনীয় অর্থ বাইরে চলে যাওয়া নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য নেই। সরকারকে অনেকে বলতে চাইছেন, ব্যবসায়ীদের যে বাড়তি করের বোঝা চাপানো হচ্ছে সেটা না করে এ টাকা বাইরে যাওয়ার পথ বন্ধ করলে খরচের অর্থ উঠে আরো অনেক টাকা বাড়তি থেকে যাবে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে পাচার হয়ে গেছে ৭২ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরের মূল্যসংযোজন কর (মূসক) খাতে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার সমান। চলতি বাজেটে মূসক থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য মাত্রা হচ্ছে ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। নতুন মূসক আইন নিয়ে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের চলছে বড় ধরনের টানাপড়েন। অর্থপাচার ঠেকাতে পারলে মূসক খাতের আয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হতো না এনবিআরকে।
এখন ব্যবসায়ীরা বাড়তি মূসক দিতে বাধ্য হবেন। সেটা নিশ্চয়ই তাদের পকেট থেকে নয়। এ টাকা তারা পাবলিকের পকেট কেটেই নেবেন। সেই ক্ষেত্রে সবার পকেট মোটাতাজা থাকবে। পাচারকারীদের ধরার কোনো পরিকল্পনাই নেই। সবাই মিলে এক সাথে দরিদ্র পাবলিকের ওপর চড়াও হবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
অপরাধের রাজনৈতিক সংযোগ
শক্তিশালী মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিচ্ছেন অনেকে। তার কথাবার্তা থেকে ভৌতিক অর্থকড়ি পাচারের ব্যাপারে আন্দাজ করা যায়। কারা অবৈধ অর্থের কারিগর সেই সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। দলীয় লোকদের কিছুটা শাসনের ভঙ্গিতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন। এমন স্বীকারোক্তির মধ্যে কোনো ধরনের অনুশোচনা দেখা যায় না। তবে দলীয় লোকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি শঙ্কিত।
তিনি এ ব্যাপারে একেবারে অকপট। কথা বলতে তিনি কোনো কিছু আড়ালে রাখছেন না। দলের দুর্নীতিবাজ লোকদের তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন ‘অন্যায়ভাবে অর্জিত অর্থের কিছুটা জনসাধারণের জন্য ব্যয় করতে হবে’। অন্যথায় তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘দল যদি ক্ষমতায় না থাকে আপনাদের দেশ থেকে পালাতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ক্ষমতা এবং অর্থ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সুতরাং অপব্যবহার করবেন না।’ অর্থাৎ তিনি সাদাসিধা শিকার করছেন দলীয় লোকেরা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করছেন।
[email protected]
সূত্র: নয়াদিগন্ত
Discussion about this post