বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বর্তমান সরকারের গুম, খুনের বিচার করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের নেতা এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ এই সরকারের আমলে গুম হওয়া সকল নেতাকর্মীকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তাকে নিজে বুঝিয়ে দিতে হবে। এসবের ক্ষতিপূরণ অন্যভাবে চুকানোর সুযোগ নেই।
আজ রোববার দুপুরে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে তাকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে প্রতিবাদী যুব সমাবেশের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম নামের একটি সংগঠন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এই সমাবেশ হয়।
আমির খসরু বলেন, এই সরকারের আমলে আমাদের প্রায় ৫ শ’ নেতাকর্মী নিখোঁজ হয়েছেন। এসবের বিচার একদিন বাংলাদেশের মাটিতে হবেই।
তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে মানবতাবিরোধীদের বিচার আন্তর্জাতিক মানের হয়নি। যেটা হয়েছে সেটা অন্যায় বিচার হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আগামীদিনে এই সরকারের সকল গুম খুনের বিচার করবে আন্তর্জাতিক মানদ-ে। যেখানে বিশ্বখ্যাত সব নামকরা জুরিস্টরা থাকবেন। আমরা ন্যায়বিচারের মানদন্ডে বিচার করবো। কারো বিরুদ্ধে অন্যায় বিচার করবো না। যেন গুম খুনের শাস্তি তারা পাবে।
সুইডেনের রেডিওতে বাংলাদেশের র্যাব বাহিনী কর্তৃক বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্যাতনের খবর প্রকাশ হওয়া প্রসঙ্গে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সুইডিশ রেডিওতে খবর প্রকাশের পর সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিন্দা জানিয়ে ঘটনার তদন্ত এবং র্যাব বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, কেউ কখনো কোনোদিন গুম খুন করে সামনে এগিয়ে যেতে পারেনি। এখন গুম খুন প্রতিরোধ শুধু নয় আমাদেরকে গুম খুনের বিচারের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ কেবল আতিথেয়তা পেয়েছে। অন্য কিছুই সে দেশ থেকে আনতে পারেনি। কারণ বাংলাদেশের মানুষের কাছে তো তাদের জবাবদিহিতা করতে হয় না।
তিনি বলেন, ভারতের সাথে চুক্তি করে নয় তিস্তা সহ অভিন্ন ৫৪ টি নদীর পানি বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দিতে হবে। যেটা বিভিন্ন ক্লজের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান একটি চুক্তি করেছিলেন। এসবের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা দিতে হবে।
এছাড়া বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করলে টেবিলের নিচে কোনো কাজ হবে না। সব কিছুই হবে টেবিলের ওপরে এবং স্বচ্ছভাবে। কোনো কাজই আর টেবিলের নিচে হবে না।
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম প্রমুখ।
সূত্র: নয়াদিগন্ত
Discussion about this post