এবার দুর্নীতি করে টাকা কামানোর প্রকাশ্য ঘোষণা দিলেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈধ এমপি আবুল কালাম আজাদ। নাটোর-১ আসন থেকে আবুল কালাম আজাদ হাসিনার একতরফা নির্বাচনে এমপি হয়েছেন। তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরও একজন।
আসলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল দর্শনই হল দুর্নীতি-লুটপাট, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাদাবাজি, দখল, টেন্ডারবাজি, খুন-হত্যা, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য আর রাহাজানি করা। আওয়ামী লীগ যখনই এদেশের ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা সারাদেশে এসব অপকর্ম করেছে।
আর অপকর্মের দিক থেকে আওয়ামী লীগের শ্রেষ্ট সময় ছিল শেখ মুজিবের শাসনামল। ওই সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন এতটাই দুর্নীতি-লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছিল যে শেখ মুজিবের কম্বলটাও তারা নিয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগের লুটপাট-দুর্নীতির কারণেই ৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এমনকি সীমাহীন দুর্নীতি-লুটপাট আর অপকর্মের কারণেই ৭৫-৯৬ পর্যন্ত ২১ বছর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়েছে।
প্রবাদ আছে যে, কয়লা ধুইলেও ময়লা যায় না। আওয়ামী লীগেরও একই অবস্থা। এত কিছুর পরও আওয়ামী লীগ তার সেই পুরনো দর্শন অনুযায়ীই আকাম-কুকাম করে যাচ্ছে। বিগত ১৬ বছর ধরে দেশে আওয়ামী লুটপাটের মহোৎসব চলছে। বস্তির লোকেরাও এখন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে শত শত কোটি টাকার হয়ে যাচ্ছে। আর এমপি-মন্ত্রীরা তো দুর্নীতির টাকা দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে বড় বড় বাড়ি আর অট্রালিকা নির্মাণ করছে।
লক্ষণীয় বিষয় হল-এতদিন তারা গোপনে লুটপাট-দুর্নীতি করলেও এখন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে দুর্নীতি শুরু করছেন। হাসিনার অবৈধ এমপি আবুল কালাম আজাদ স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন যে, এবার (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে) ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা আমি তুলবো। যে ভাবেই হোক তুলবোই। এতটুক অনিয়ম আমি করবোই। এটুকু অন্যায় করব।
একজন এমপির প্রকাশ্যে দুর্নীতির ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমে পরিষ্কার হল যে অন্য এমপিরা আসলে কী করছে। অন্যরা ঘোষণা দেয়নি। রাষ্ট্রের সম্পদকে তারা নিজেদের মতো করেই লুটেপুটে নিচ্ছে।
একজন সংসদ সদস্যের এভাবে দুর্নীতি করে টাকা কামানোর ঘোষণা দেয়া সম্পূর্ণ সংবিধানের লঙ্ঘন। আইনের দৃষ্টিতে তার শপথ ভঙ্গ হয়ে গেছে। তিনি আর সংসদ সদস্য থাকতে পারেন না।
Discussion about this post