• যোগাযোগ
শুক্রবার, জুন ৬, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home slide

খুনের দায় চাপাতে স্বামীকে নির্যাতন, স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিলো পুলিশ

##নির্দোষ স্বামীর ওপর খুনির দায় চাপাতে এই নির্যাতন ##স্ত্রীর দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে পুলিশ

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
in slide, বিশেষ অ্যানালাইসিস
খুনের দায় চাপাতে স্বামীকে নির্যাতন, স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিলো পুলিশ
Share on FacebookShare on Twitter

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

থানায় নির্দোষ স্বামীক আটকে রেখে নির্যাতন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে রাজবাড়ি থানার এসআই হিরণ কুমার বিশ্বাস। শুধু তাই নয় নির্দোষ স্বামীর ওপর খুনির দায় চাপাতে চোখ বেধে অমানুষিক নির্যাতন চালায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দীন, ওসি শাহাদত হোসেন, গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক প্রাণবন্ধু বিশ্বাস ও এসআই হিরণ কুমার বিশ্বাস।

স্ত্রী জানায়, সদর থানায় আটকে রেখে তাঁর স্বামীকে নির্যাতন করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আইজিপিস কমপ্লেইন সেলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিয়েছেন।

ঘটনার শুরু একটি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে। রাজবাড়ীর বানিবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন আব্দুল লতিফ মিয়া (৫৭)। তিনি এবারের ইউপি নির্বাচনে দল থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। গত বছরের ১১ নভেম্বর খুন হন লতিফ।

লতিফের প্রতিবেশী তাপসী। সেই সুবাদে লতিফকে নির্বাচনী কাজে সহায়তা করছিলেন মেহেদী। গত ১১ নভেম্বর রাতে বানিবহ বাজারে নির্বাচনী কাজ শেষে তিনি মোটরসাইকেলে করে মেহেদীকে তাঁর বাড়িতে নামিয়ে দিতে যান। দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎ পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। মেহেদীকে তাঁর বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যাওয়ার পরপরই আবদুল লতিফকে সামনে থেকে দুটি গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে এগোতে থাকলে তাঁকে পেছন থেকে আরও তিনটি গুলি করা হয়। উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর আগে আবদুল লতিফ তাঁর ওপর হামলাকারী হিসেবে মোর্শেদ, সীমান্ত, মনির, লিটন, জাকারিয়া, হোসেন, মুন্সীসহ কয়েকজনের নাম বলে যান। তাঁর এ-সংক্রান্ত কথা মুঠোফোনে রেকর্ড করা আছে।

মোর্শেদকে প্রধান আসামি করে কয়েকজনের নামে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা করেন আবদুল লতিফের স্ত্রী শেফালী আক্তার। এখন পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত এখনো চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিতেই যেন মারিয়া হয়ে উঠেছে পুলিশ।

যেখানে খুনিদের নাম প্রকাশিত সেখানে আবদুল লতিফের সহযোগী মেহেদীকে আটক করে অমানুষিক নির্যাতন তার প্রমাণ।

তাপসী রাবেয়া প্রথম আলোর এক সাক্ষাৎকারে জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় মেহেদী বাড়ির ভেতরে ছিলেন। চিৎকার শুনে শুরুতে তাঁদের ধারণা হয়েছিল, বাড়িতে হয়তো ডাকাত পড়েছে। পরে বাইরে বেরিয়ে দেখা যায়, রক্তাক্ত আবদুল লতিফকে ধরাধরি করে তাঁদের বাড়ির ভেতরে আনছেন লোকজন।

হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পর এক রাতে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাঁদের বাড়িতে আসে বলে জানান তাপসী। তিনি বলেন, বাড়িতে এসে মেহেদীর সঙ্গে কথা বলতে চান পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হিরণ কুমার বিশ্বাস। পরে মেহেদীকে সঙ্গে নিয়ে যায় পুলিশ। ওই রাতে মেহেদী আর বাড়িতে ফেরেননি। পরদিন রাজবাড়ী সদর থানা, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও অন্যান্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অফিসে স্বামীর খোঁজ করেন তাপসী।

নির্দোষ স্বামীর ওপর খুনির দায় চাপাতে এই নির্যাতন

তাপসী বলেন, ‘থানায় গিয়ে দেখি, মেহেদীকে বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে পুলিশ। পেটাতে পেটাতে তারা মেহেদীকে বলছে, স্বীকার কর যে তুই লতিফ চেয়ারম্যানকে গুলি করেছিস।’

মেহেদীর স্ত্রী বলেন, ‘থানায় গেলে আমার মুঠোফোন কেড়ে নেয় পুলিশ। আমাকে ও মেহেদীকে পাশাপাশি দুটো কক্ষে আটকে রাখা হয়। মাঝে কাচের দেয়াল ছিল। আমি সব দেখতে ও শুনতে পাচ্ছিলাম।’

তাপসীর অভিযোগ, আবদুল লতিফ হত্যার ঘটনায় মেহেদীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।

তাপসী বলেন, ‘পুলিশ মেহেদীকে মারধর করছিল আর তাকে বলছিল, “অস্ত্র কোথায় আছে বল? তোর বউ এখানে আছে। ওর নামেও মামলা দেব। স্বীকার কর যে তুই খুন করেছিস।” মারতে মারতে মেহেদীকে আমার কাছে নিয়ে আসে। মেহেদী আমাকে বলে, “আমিতো কিছু করিনি।”’

তাপসীর ভাষ্য, পুলিশ মেহেদীর দাড়ি ধরে জোরে টান মারে। তাঁর নখ তুলে ফেলে। ছয় থেকে সাতজন পুলিশ মিলে বুট জুতা দিয়ে মেহেদীকে মেঝের সঙ্গে চেপে ধরে। পুরো সময় মেহেদীর চোখ বাঁধা ছিল। মাঝরাতে পুলিশ বলে, মেহেদীকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে। তাপসীর সামনে দিয়ে তাঁর স্বামীকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর মেহেদীকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়।

তাপসী বলেন, ‘ওই রাতে মনে হয়েছিল, আমার উদ্বিগ্ন মা-বাবা হয়তো আমাকে বারবার ফোন করছেন। কিন্তু ফোনে এপাশ থেকে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল, তাপসী ও তার স্বামী ঢাকায় চলে গেছে। অথচ, তখন আমরা থানাতেই আটক ছিলাম।’

তাপসীর ভাষ্য, তাঁকে যে কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল, সেখানে ভোর চারটার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দীন, ওসি শাহাদত হোসেন, গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক প্রাণবন্ধু বিশ্বাস, এসআই হিরণ কুমার বিশ্বাস প্রবেশ করেন।

তাপসী বলেন, ‘ঢাকা থেকে আরেক পুলিশ সদস্য এসেছিলেন। তিনি আমার গা ঘেঁষে বসেন। অন্যরা আমাকে ঘিরে বসেন। আমার, মেহেদী ও আমাদের সন্তানের নামে তাঁরা আজেবাজে কথা বলছিলেন। এমনকি আমার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে তাঁরা নানা অশ্লীল মন্তব্য করেন।’

স্ত্রীর দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে পুলিশ

পুলিশ সদস্যরা হাত দিয়ে নানা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছিলেন বলে অভিযোগ তাপসীর। তিনি বলেন, ‘আমি বসে ছিলাম। আমাকে উঠে দাঁড়াতে বলা হয়। জানাই, আমি দুই মাসের গর্ভবতী। এ কথা শুনে একজন ছাড়া পুলিশের অন্য সদস্যরা কক্ষটি থেকে চলে যান। কিন্তু আমার গা ঘেঁষে যিনি বসেছিলেন, তিনি থেকেই যান। তাঁকে ইঙ্গিত করে পুলিশের অন্য সদস্যরা বলেন, “ওকে আপনার দায়িত্বে দিয়ে গেলাম।” এরপর তাঁরা দরজা লাগিয়ে চলে যান।’

তাপসী আরও বলেন, ‘অন্যরা চলে গেলে ওই পুলিশ সদস্য আমাকে বলেন, “আমারে চিনস?” তাঁর হাতে দুটো মোবাইল ছিল। তিনি বলেন, “কিছু দেখবি?” আমি বুঝতে পারিনি। আমি বলি, কী দেখব? তখন আমাকে উনি বলেন, “তুই কি রেপ হইতে চাস?” এ কথা শুনে আমি তাঁর হাতে-পায়ে ধরি। আমার ক্ষতি না করতে অনুরোধ করি। তখন ওই পুলিশ সদস্য আমাকে একটা চড় মেরে বেরিয়ে যান।’

তাপসী বলেন, এভাবেই রাতটা কেটে যায়। পরদিন সকাল আটটার দিকে তাঁর বাবা থানায় আসেন। তখনো তাঁর ও মেহেদীর অবস্থান নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। একপর্যায়ে তিনি জানালা দিয়ে তাঁর বাবাকে ডাকেন। এরপর সাদা কাগজে মুচলেকা দিয়ে তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে বাড়িতে ফেরেন। আর মেহেদীকে পাঠানো হয় কারাগারে।

তাপসী যেসব অভিযোগ করেছেন, সেগুলোর সঙ্গে আইজিপিস কমপ্লেইন সেলে দেওয়া তাঁর অভিযোগের মিল রয়েছে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এই সেলে পুলিশ সদস্যদের যেকোনো অপেশাদার ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অভিযোগ করতে পারেন জনগণ। তবে এর সঠিক বিচার পাবেন কি না তা নিয়ে আশঙ্কা তাপসীর।

সূত্র: প্রথম আলো

সম্পর্কিত সংবাদ

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
Home Post

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?
Home Post

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

    সাম্প্রতিক সংবাদ

    জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

    জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

    মে ৩১, ২০২৫
    মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

    মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

    মে ২১, ২০২৫
    ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

    ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

    মে ২১, ২০২৫
    নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

    নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

    এপ্রিল ৩০, ২০২৫
    আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

    আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

    এপ্রিল ৩০, ২০২৫
    • Privacy Policy

    © Analysis BD

    No Result
    View All Result
    • মূলপাতা
    • বিশেষ অ্যানালাইসিস
    • রাজনীতি
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • মতামত
    • কলাম
    • ব্লগ থেকে

    © Analysis BD