অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর এতদিন পর এসে হত্যার অভিযোগে তুলে মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ আল্লামা আহমদ শফীর শ্যালক মাইনুদ্দিন মামলাটি করেন। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
কিন্তু এই খবর প্রকাশের পর জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন, মৃত্যুর এত দিন পরে কেন এই মামলা? নাকি এর পেছনে অন্যকোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। আবার সরকারি হস্তক্ষেপে এই মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
সূত্র বলছে, মামুনুল হককে ঠেকাতে হেফাজতের এক অংশকে ইন্ধন যোগাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের ওপর মহল থেকে। এর আগে হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালকের পদ থেকে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে সরাসরি সরকারের নির্দেশে বাদ দেয়া হয়। আর এখানে নাটেরগুরু হিসেবে কাজ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এরপর আন্দোলনের মুখে সরকারের কৌশল ব্যর্থ হয়। তারপরেও বিভিন্ন ভাবে হেফাজতকে বসে আনতে চেষ্টা করে চলছে সরকার। হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।
দেখা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর একটি আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘আহম্মদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।’ এসময় অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে সরকারের কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন তিনি। যা পুরোপুরিই অযৌক্তিক ও বানোয়াট কথা। সে সময়য়ের গণমাধ্যম তা প্রমাণ করে। এছাড়া হেফাজতে ইসলামের আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু ‘স্বাভাবিকভাবে’ হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছিলেন মাদ্রাসাটির শিক্ষকরাও।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের আশঙ্কা করছে ভবিষ্যতে মামুুনুল হকের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের আবার নতুন করে উত্থান ঘটবে। এই আশঙ্কা থেকেই বিভিন্ন সময় নতুন নতুন ইস্যু তৈরী করে তাকে আটকানোর চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে ১০৩ বছর বয়সে শাহ আহমদ শফী বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।