অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তর মুসলিম দেশ হলো বাংলাদেশ। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের ইমান-আকীদা হলো আল্লাহ ও তার রাসুলের উপর বিশ্বাস। একটি মুসলিম দেশ হিসেবে এদেশের সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কিছু নামধারী মুসলিম ও কিছু উগ্র হিন্দু ষড়যন্ত্র করে আসছে।
সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দিতে তারা আদালত পর্যন্ত গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থামেনি। আদালত কর্তৃক একটি মিমাংসীত বিষয় হলেও তারা আবার এর বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলার চেষ্টা করছে।
সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা লেখা চালু করার দাবিতে ১০জন রাজনীতিবিদ ও আমলাকে লিগ্যাল নোটিস দিয়েছে বাংলাদেশ মাইনরিটি সংগ্রাম পরিষদ নামের কথিত একটি সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ অশোক কুমার সাহা।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বিএনপির মহাসচিব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব, গণফোরামের ড. কামাল হোসেন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে এ নোটিশ দিয়েছে উগ্র হিন্দু হিসেবে পরিচিত অশোক কুমার সাহা।
এর আগেও সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিতে আদালতে রিট করেছিল মুসলিম নামধারী চরম ইসলাম বিদ্বেষী আনিসুজ্জামান ও শাহরিয়ার কবিররা। ২৮ বছর পর ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাদের রিট খারিজ করে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকার রায় দিয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালত যেখানে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহালের রায় দিয়েছেন সেখানে নতুন করে আবার এটাকে বাতিল করার দাবি তোলা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আর বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলেও অন্যান্য ধর্মের লোকজন এদেশে স্বাধীনভাবেই তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করতে পারছে। তাদের কোনো ধর্মীয় কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে না। এমনকি বর্তমান সরকারের আমলে দেশে যতগুলো মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে ততগুলো মসজিদও নির্মাণ করা হয়নি। কোনো ক্ষেত্রেও তারা মুসলমানদের চেয়েও বেশি সুযোগ-সুবিধা ও স্বাধীনতা ভোগ করছে।
এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে-এদেশের হিন্দুরা এত স্বাধীনতা ভোগ করার পরও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে তাদের এত মাথা ব্যথা শুরু হলো কেন? অশোক কুমারদের আসল উদ্দেশ্য কি? অশোক কুমারদের পেছন থেকে কারা কলকাঠি নাড়ছে?
রাজনীতিক বিশ্লেষক ও সচেতন মানুষ মনে করছেন, আইনগতভাবে মীমাংসিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চালু করার জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেয়া অসাংবিধানিক ও আইনগত এখতিয়ার বহির্ভূত। এটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল। এটি দেশের জনগণের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র। দেশে বিশৃঙ্খলা ও ধর্মীয় সহিংসতা সৃষ্টির জন্য মূলত তারা এটা করছে। অশোক কুমাররা দেশের তাওহিদী জনতাকে উস্কানি দিয়ে মাঠে নামানোর চেষ্টা করছে।
সচেতন মানুষ মনে করছেন, উগ্রহিন্দু অশোক কুমারের বিরুদ্ধে সরকারকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় দেশের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।