অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
অবশেষে থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে। অন্যায়, অনিয়ম, প্রতারণা, মিথ্যাচার যে চাপা দিয়ে বেশিদিন রাখা যায় না সেটার প্রমাণ আবারও হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই বোমা আর জঙ্গি নাটকের নামে দেশবাসীর সাথে প্রতারণা করে আসছিল। সমাজের অনেক নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি বানিয়ে গুলি করে হত্যা করে আসছে। কিন্তু এবার সেই চিরন্তন সত্যগুলো প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে জঙ্গি হামলা হতে পারে পুলিশের পক্ষ থেকে হঠাৎ করে এমন একটি গুজব জড়ানো হয়েছিল। এই গুজবকে সত্য প্রমাণিত করতে পুলিশ নিজেই পল্লবী থানার ভেতরে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। আর দায় চাপিয়েছিল নিরপরাধ শহীদুল ও রফিকুলের উপর।
পুলিশ বলেছিল, বিস্ফোরণের রাতে শহীদুল ও রফিকুলকে আটক করা হয়েছে বোমাসহ। অথচ-গাড়ি চালক শহীদুলকে বাউনিয়া থেকে তিন দিন আগেই জোর করে তুলে এনেছিল ডিবি। যেটা প্রকাশ হওয়ার পর চুপসে যায় পুলিশ।
পরে জানা গেছে, রফিকুলকেও তার বাসা থেকে তুলে আনা হয়েছে আগেই। রফিকুলের স্ত্রী ও মা বলেছেন, রফিকুল ইট ও বালুর ঠিকাদারি কাজ করেন। ২৯ জুলাই থানায় বিস্ফোরণের দুদিন আগে ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় তাদের বাসার সামনে কালো মাইক্রোবাসে সাদা পোশাকে ৫ অস্ত্রধারী ব্যক্তি আসেন। এ সময় তারা ঘরে ঢুকে রফিকুলের মুখ চেপে ধরে অস্ত্রের মুখে গাড়িতে তুলে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
ঘটনার পরপরই পল্লবী থানায় যান রফিকুলের স্ত্রী শিল্পী আক্তার ও রফিকুলের বোন। কিন্তু এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের সঙ্গে কথাও বলেননি, সহযোগিতাও করেননি। উল্টো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ করেন রফিকুলের স্ত্রী। জিডি করতে গেলেও ফিরে আসতে বাধ্য হয় রফিকুলের পরিবার।
এসব ঘটনা প্রকাশের পর চরম বেকায়দায় পড়ে যায় পুলিশ বাহিনী। বেরিয়ে আসে আসল সত্য। কোনো উপায় না দেখে নিজেদের ইজ্জত রক্ষায় পরে পল্লবী থানাসহ মিরপুর জোনের শীর্ষ ১২ পুলিশ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।
সচেতন মহল বলছেন, অপরাধ দমনের পরিবর্তে পুলিশ এখন অপরাধ করছে। এমনকি অন্যান্য অপরাধীরাও পুলিশের আশ্রয়ে থেকে বিভিন্ন অপরাধ করে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সমাজ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙ্গে পড়বে। তাদের মতে, সরকার দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশকে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করছে। পুলিশ যখন যা চাচ্ছে সরকার তাই দিচ্ছে। এসব কারণে পুলিশ এখন বেপরোয়া হয়ে গেছে। তারা এখন জনগণের নিরাপত্তা দেয়ার পরিবর্তে নাগরিকদেরকে হয়রানি, নির্যাতন ও হত্যা করছে।