অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
অবৈধভবে ভারতীয়রা এদেশে কাজ করে কিভাবে বলে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
গতকাল শুক্রবার ‘দেশের বেসরকারি খাতে ভারতীয়দের দাপট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। সেখানে বলা হয় বাংলাদেশের বেসরকারি চাকরির বাজারে এখন ভারতীয়দের দাপট। পোশাক, বায়িং হাউজ, আইটি এবং সেবা খাতে তারা প্রাধান্য বিস্তার করে আছেন।
এসব খাতে প্রায় পাঁচ লাখ ভারতীয় কাজ করে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু তাদের অধিকাংশেরই কোনো ওয়ার্ক পারমিট নেই। তারা ট্যুরিস্ট ভিসায় আসেন। আর তাদের বেতন অনেক বেশি। ট্যুরিস্ট ভিসায় যারা কাজ করেন তাদের আয় করা পুরো অর্থই অবৈধ পথে বাংলাদেশের বাইরে চলে যায়।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশর (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে বলেছে বাংলাদেশে মোট বিদেশি দুই লাখ ৫০ হাজার৷ তাদের মধ্যে বৈধ ৯০ হাজার৷ বাকিরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে আছেন৷ আর যারা বৈধভাবে আছেন তাদের মধ্যে ৫০ ভাগ কোনো অনুমতি না নিয়েই টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে কাজ করছেন৷ এই বিদেশিরা বছরে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেন৷ টিআইবি বাংলাদেশে বিদেশিদের হিসাব করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ২০১৮ সালে দেয়া ৮৫ হাজার ৪৮৬ জন বৈধ বিদেশির তথ্যের ওপর ভিত্তি করে৷ কিন্তু বাস্তবে এই সংখ্যা আরো বেশি।
বাংলাদেশে দু’টি তৈরি পোশাক কারখানার মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে নানা কারণে পোশাক খাতে ভারতীয়দের অবস্থান শক্ত৷ এর মধ্যে পোশাক খাতে কয়েকটি বিষয়ে দক্ষ জনশক্তির অভাব আছে৷ আর পোশাকের বায়িং হাউজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ভারতীয়রা৷ ফলে পোশাক কারাখানাগুলো বায়ার পেতে তাদের কারখানায় মার্কেটিং এবং হিসাব বিভাগেও ভারতীয়দের নিয়োগ করে৷ তাদের মতে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে এক লাখেরও বেশি ভারতীয় কাজ করেন৷ অন্যদিকে বায়িং হাউজে এই সংখ্যা আরো আরো বেশি৷
এর বাইরে আইটি খাতেও ভারতীয়দের দাপট৷ আরো অনেক সেবা খাত আছে যেখানে ভারতীয়রা কাজ করেন৷ এমনকি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম, বিজ্ঞাপন, কনসালটেন্সি এসব খাতেও ভারতীয়রা রয়েছেন৷ সবমিলিয়ে বাংলাদেশে কম করে হলেও পাঁচ লাখ ভারতীয় কাজ করে বলে ধারণা করা হয়৷ কিন্তু তাদের অধিকাংশেরই কোনো ওয়ার্ক পারমিট নেই৷ তারা ট্যুরিস্ট ভিসায় আসেন৷ আর তাদের বেতন অনেক বেশি৷ ট্যুরিস্ট ভিসায় যারা কাজ করেন তাদের আয়করা পুরো অর্থই অবৈধ পথে বাংলাদেশের বাইরে চলে যায়৷
ওই প্রতিবেদনটি শেয়ার করে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই আইনি অধ্যাপক। তিনি লেখেন, অবৈধভাবে গরু আনতে গেলে ভারতীয় বাহিনীর হাতে গুলি খেয়ে প্রাণ হারায় বাংলাদেশের মানুষ। অবৈধভবে ভারতীয়রা এদেশে কাজ করে কীভাবে? সেও এতো বিপুল সংখ্যায়, দেশে এতো প্রকট বেকার সমস্যা থাকার পরও।’
‘এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত সরকারের কাছে এসব প্রশ্ন তোলা। জবাব চাওয়া।’
এর আগে গত বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মোট বিদেশি দুই লাখ ৫০ হাজার। তাদের মধ্যে বৈধ ৯০ হাজার। বাকিরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে আছেন।
আর যারা বৈধভাবে আছেন তাদের মধ্যে ৫০ ভাগ কোনো অনুমতি না নিয়েই টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে কাজ করছেন। এই বিদেশিরা বছরে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেন।