অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ করে কথিত বিজয় উৎসবের নামে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করেছেন শেখ হাসিনা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত এই নাচ-গানের উল্লাসে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ সারা দিয়েছে বলে মনে হয় না। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনার এই উল্লাসকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যাপক চাদাবাজি করেছে।
আর উল্লাস মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা এবারও মিথ্যাচারের সেই পুরনো রেকর্ড বাজিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে নৌকায় ভোট দিয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে।
শেখ হাসিনার এই বক্তব্য নিয়ে হাসি-ঠাট্টা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ৫ জানুয়ারির কলঙ্কিত নির্বাচনের পর আরেকটি কলঙ্ক যুক্ত হলো আওয়ামী লীগের ঝুড়িতে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থেকে বক্তব্য দিয়ে, আনন্দ উল্লাস করে ভোট ডাকাতিকে বৈধ বানানো যায় না।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব সর্বশেষ শুক্রবার বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সত্যিকার অর্থেই সঠিকভাবে হয়নি। এর আগে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে নির্বাচনে ভোট ডাকাতি নিয়ে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনটিতো দেশ-বিদেশে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে।
নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির পরও প্রধানমন্ত্রীর এই স্বতস্ফূর্ত ভোটের দাবিকে হাস্যকর বলেই মনে করছেন রাজনীতিবিদসহ বিশিষ্টজনেরা। আবার অনেকে বলছেন, ডাকাতরা যেমন ডাকাতির মালামাল নিয়ে আনন্দ উল্লাস করে প্রধানমন্ত্রীও ঠিক তাদের মতই ভোট ডাকাতি করে আবার বিজয় উল্লাস করছেন।