শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। এ সমাবেশে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলের চিন্তা ও অবস্থান পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবে দলটি। তবে এখনও সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি মেলেনি।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বাংলা ট্রিবিউনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, ‘আমরা ডিএমপিতে গিয়েছিলাম। শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এবং রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) যেকোনও একদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চাই। কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি।’
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির ব্যানারে সমাবেশ আয়োজন করা হবে। অন্য দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সমাবেশ বিএনপির ব্যানারেই হবে। আর অন্য কোনও দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা আমি জানি না।’
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, শনিবার বা রবিবার সমাবেশে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান পরিষ্কার করা হবে। সরকারের প্রতি দাবি যেমন থাকবে, তেমনি জাতীয় ঐক্যে আগ্রহী দলগুলোর কাছেও বার্তা থাকবে। এরই মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘সমাবেশ থেকে নীতিনির্ধারণী বার্তা দেওয়া হবে।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। পরে জোটের অন্যতম নেতা বি. চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিএনপির অনুরোধে দলটির সমাবেশের পর লিয়াজোঁ কমিটি গঠন হবে।
জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যে আগ্রহী সব দলই বিএনপির বার্তা শুনতে চায়।’
রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির সমাবেশ থেকে যে বার্তা দেওয়া হবে, আগামী নির্বাচনের আগে বিরোধী দল হিসেবে তা ভিন্নমাত্রা পাবে। বিশেষ করে গত ৯০ দশকের পর সমাবেশ থেকে রাজনৈতিক দলের নীতিনির্ধারণী অবস্থান ব্যক্ত করার বিষয়টি প্রায় নতুন। এক্ষেত্রে বিএনপির সমাবেশের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর বাড়তি মনোযোগ থাকবে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সমাবেশ থেকে বিএনপির পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থান ও করণীয় জানানো হলে তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস রচিত হবে।’
এদিকে সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগরী বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে ঢাকার আশপাশের এলাকার নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে পারেন।
ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। দলের কর্মসূচি এবং অবস্থান জানানো হবে সমাবেশ থেকে। আমরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন