কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের তিন নেতাকে তুলে নিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। সোমবার (১৬ এপ্রিল) বেলা পৌনে ২টার দিকে এ অভিযোগ করেছেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
ওই তিন নেতা হলেন- ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন শেষে ফিরে যাওয়ার সময় চানখারপুলের সামনে থেকে তাদেরকে তুলে নেয়া হয়।
হাসান আল মামুন জানান, সংবাদ সম্মেলনের সময় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশে হাকিম চত্বরে সাদা পোশাকে ৮-৯ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান করছিলেন। পরে সংবাদ সম্মেলন শেষে নুরুল্লাহ নূর, রাশেদ খান ও ফারুক হাসান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন আহত তিন ছাত্রকে দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামে কোটা আন্দোলনকারীদের অনলাইন প্লাটফর্ম ফেসবুক গ্রুপটিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন একজন আন্দোলনকারী।
কেন্দ্রীয় কমিটির বরাত দিয়ে নাহিদ হাসান শাওন নামের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর পোষ্টটি অ্যানালাইসিস বিডির পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
কেন্দ্রীয় কমিটিঃ
সংবাদ সম্মেলন শেষে যাওয়ার পথে চানখারপুলের সামনে থেকে এই মাত্র রাশেদ ভাই, ফারুক ভাই সহ কেন্দ্রীয় নেতাকে অজানা লোকে তুলে নিয়েছে।
কিছুক্ষণ আগের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের পক্ষ থেকে যে মামলাগুলো করা হয়েছে, আগামী দুই দিনের মধ্যে সেগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। দুই দিনের মধ্যে এই দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এছাড়া ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করায় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকাকে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছে সংগঠনটির নেতারা। তারা বলেছেন, আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে ইত্তেফাক পত্রিকা যদি প্রতিবেদন প্রত্যাহার না করে, কাল থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পত্রিকা বর্জন করা হবে।