বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ আবারও পাতানো নির্বাচন আয়োজন করতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দূরে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের দুর্বল করতে ব্ল্যাকমেইল করে আইনশৃংখলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অবৈধভাবে টাকা দাবি করছে। আইনশৃংখলা বাহিনী শোষকের ভূমিকা পালন করছে।সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তারা মোটা অংকের টাকা লুট করে আলিশান বাড়ি তৈরি করছে।
শনিবার ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রম পাড়াস্থ হাওলাদার কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত বিএনপির সদর উপজেলা কমিটির বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তবে তা হতে হবে নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনারের অধীনে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকারের মতের বাইরে গেলে বা দ্বিমত পোষণ করলেই অপহরণ-গুম ও খুনের শিকার হতে হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, কবি সাহিত্যিক, শিক্ষক, ব্লগার, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
আগে এদেশে এ ধরণের অপসংস্কৃতি ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর একের পর এক গুম,খুন ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে।বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীসহ শত-শত মানুষকে গুম করা হয়েছে। কিন্তু তারা কী অবস্থায় আছেন জানতে পারেনি তাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা।
উপজেলা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন লালের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজাহারুল ইসলাম বাদলসহ আরো অনেকে।
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করলেই হয়তো খুন, গুম বা অপহরণের ফাঁদে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতা,সাংবাদিক, কবি সাহিত্যিক,শিক্ষক, ব্লগার, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে।
মির্জা ফখরুল বলেন, রংপুর সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে।ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন বিএনপিতে দলীয় কোন কোন্দল নেই। এটা আওয়ামী লীগের সৃষ্টি।অনুষ্ঠান শেষে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে ঠাকুরগাঁও ত্যাগ করেন।
সূত্র: যুগান্তর